মুক্তি পেয়ে তুরস্কে গেলেন গাদ্দাফির ছেলে

কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন লিবিয়ার সাবেক নেতা মুয়াম্মার আল গাদ্দাফির ছেলে সাদি আল গাদ্দাফি। মুক্তির পরই তাকে তুরস্কে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সাবেক স্বৈরশাসক গাদ্দাফির ছেলের বিরুদ্ধে হত্যা, প্রতারণা, মানুষকে দাসত্বে বাধ্য করার পাশাপাশি আরো অভিযোগ আনা হয়।

সাদি আল গাদ্দাফি

লিবিয়া সরকারের একাধিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর প্রকাশ করেছে। গতকাল রোববার দেশটির রাজধানী ত্রিপোলির কারাগার থেকে সাদি আল গাদ্দাফিকে মুক্তি দেওয়া হয়। পশ্চিমা সমর্থিতদের অভিযানে ২০১১ সালের ২০ অক্টোবর নিহত হন মুয়াম্মার আল গাদ্দাফি।

ওই সময় পার্শ্ববর্তী নাইজারে পালিয়ে যান সাদি আল গাদ্দাফি। তবে ২০১৪ সালে নাইজার কর্তৃপক্ষ তাকে তৎকালীন লিবিয়া সরকারর হাতে হস্তান্তর করে। অভিযোগ উঠে, একজন স্বৈরশাসকের ছেলে হিসেবে সাইফ আল গাদ্দাফি হেন কুকর্ম নেই, যা করেননি। ওই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তার এসব অপকর্মের খবর প্রকাশ হয়।

লিবিয়ার সাবেক নেতা মুয়াম্মার আল গাদ্দাফি

লিবিয়া সরকারের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ দিবেবেকের কাছে সম্প্রতি সাদি গাদ্দাফির মুক্তির জন্য অনুরোধ করেন উপজাতি গোষ্ঠীর কয়েকজন সিনিয়র নেতা। এর পরই তাকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং প্রক্রিয়া শেষে রোববার জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।

ওই কর্মকর্তা আরো জানান, কারাগার থেকে মুক্তির পর ত্রিপোলি বিমানবন্দর থেকেই সাদি আল গাদ্দাফিকে একটি বিমানে করে তুরস্কের ইস্তাম্বুল পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কী কারণে তাকে তুরস্কে পাঠানো হয়েছে, সে ব্যাপারে বিস্তারিত বলেননি তিনি।

এদিকে, লিবিয়ার জিনতান শহরে বর্তমানে বসবাস করছেন মুয়াম্মার আল গাদ্দাফির আরেক ছেলে সাইফ আল ইসলাম গাদ্দাফি। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী, দেশটিতে চলতি বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি।