তাইওয়ানের আকাশে ১৯ যুদ্ধবিমান পাঠাল চীন

তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা এলাকায় ১৯টি যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে চীন। এসব বিমানের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম চারটি এইচ–৬ বোমারু বিমানও ছিল। গতকাল রোববার এমন অভিযোগ করেছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

তাইওয়ানের আকাশে চীনা যুদ্ধবিমান, ফাইল ছবি

মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত তাইওয়ানকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করে আসছে চীন। স্বশাসিত অঞ্চলটিতে সাম্প্রতিক সময়ে সামরিক তৎপরতা বাড়িয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাইওয়ানের আকাশসীমায় মাঝেমধ্যে যুদ্ধবিমান পাঠানোর পাশাপাশি সীমান্তে সামরিক শক্তি বাড়িয়ে চলেছে চীন।

বিবিসি জানায়, সবশেষ ১৯টি চীনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের প্রাতাস দ্বীপের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার খবর এলো। এসব বিমানের মধ্যে এইচ-৬ বোমারু বিমানের সাবমেরিন ধ্বংসের বিমানও ছিল। সেগুলোর যাত্রাপথের একটি মানচিত্র প্রকাশ করেছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

চীন ও তাইওয়ানের পতাকা

দেশটি জানিয়েছে, চীনা যুদ্ধবিমানগুলোকে সতর্ক করতে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত রাখা হয়। এর পাশাপাশি কয়েকটি ফাইটার বিমানও উড়ানো হয় নিজেদের আকাশে। তবে এ বিষয়ে চীনের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি এখনো।

এর আগে গত জুনে চীনের ১৮টি যুদ্ধবিমান নিজেদের আকাশ সীমায় অনুপ্রবেশের অভিযোগ করেছিল তাইওয়ান। এ নিয়ে বেইজিংয়ের সঙ্গে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়ার শঙ্কা প্রকাশ করে তাইপে। এমন অবস্থায় চীনের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য হামলার স্পষ্ট ঝুঁকি দেখা যাচ্ছে উল্লেখ করে তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ উ বলেছিলেন, নিজেদের রক্ষায় প্রশ্নাতীতভাবে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ আমরা। যুদ্ধ হলে, লড়াইয়ের দরকার হলে একেবারে শেষ দিন পর্যন্ত লড়াই করবো।

তাইওয়ানে চীন-যুক্তরাষ্ট্র দ্বন্দ্ব, ফাইল ছবি

প্রসঙ্গত, গত বছর চীনের ওপর চাপ বাড়াতে তাইওয়ানকে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা দেয়ার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ১০০টি হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র বা কোস্টাল ডিফেন্স সিস্টেম বিক্রির বিষয়টি অনুমোদন করেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এর পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে তাইওয়ান উপকূলে বিপুল সংখ্যক সেনা ও অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র মোতায়েন করে বেইজিং। পুরনো ডিএফ-১১এস ও ডিএফ-১৫এস মিসাইল সরিয়ে অত্যাধুনিক ডিএফ-১৭ হাইপারসনিক মিসাইল বসানো হয়।