৭ বিলিয়ন ডলারের ভারতীয় ঋণ, ব্যবহার মাত্র ৬ শতাংশ

গত এক দশকে তিনটি লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) আওতায় ভারত থেকে ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ নিয়েছে বাংলাদেশ। তবে বাস্তবায়নে ধীরগতির কারণে এর মধ্যে মাত্র ৬ শতাংশ ব্যবহার হয়েছে। এমন তথ্যই জানিয়েছেন দাতা সংস্থা এক্সিম ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার আবাসিক প্রতিনিধি প্রিয়াংশু তিওয়ারি।

বাংলাদেশ ও ভারতের পতাকা

২০১০ সাল থেকে ১৪টি প্রকল্পে ৪১০ দশমিক ৭৬ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে সরকার। এর মধ্যে ১২টির অর্থায়ন হয় ২০১০ সালে সই হওয়া প্রথম এলওসির মাধ্যমে, বাকি দুটির অর্থ আসে ২০১৬ সালে সই করা তৃতীয় এলওসির আওতায়।

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে এক মতবিনিময় সভায় এ সংক্রান্ত বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন তিওয়ারি। প্রকল্প প্রস্তুতিমূলক সুবিধা অনুসরণের জন্য দিল্লিকে পরামর্শ দেন তিনি। প্রকল্প প্রণয়ন ও পরিকল্পনার সামগ্রিক মান উন্নয়নে সময় কমিয়ে আনা এবং ভারতীয় কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞদের এদেশে প্রবেশের সুবিধা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়। এ ছাড়া ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের দ্রুত সেবা প্রদান নিশ্চিত করার পাশাপাশি সামর্থ্য বাড়ানোর তাগিদ দেন তিওয়ারি। এলওসির আওতায় আনা নির্ধারিত পরিমাণ নমনীয় ঋণ তৎক্ষণাৎ কিংবা সময় নিয়ে শোধ করার নিয়ম রয়েছে।

আশুগঞ্জ-আখাউড়া চার লেন সড়ক, ফাইল ছবি

এ বিষয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ সূত্র জানায়, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সীমান্তে কড়াকড়ি থাকায় তার প্রভাব পড়েছে এসব প্রকল্পে। তবে ভারতীয় অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা প্রকল্পগুলোর কাজে গতি বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। এলওসির আওতাধীন প্রকল্পগুলোতে ১৭২ কোটি ডলার বরাদ্দ দেয়া হয়, যা মোট তহবিলের ২৫ শতাংশ। ২০১৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৭৮০ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প চুক্তি সই হয়েছে, ছাড় করা হয়েছে ১১ শতাংশ (৮৫২ মিলিয়ন ডলার)। এর মধ্যে ৮৬২ মিলিয়ন ডলারের প্রথম এলওসি থেকে ৬৬১ মিলিয়ন ডলার, ২০০ কোটি ডলারের দ্বিতীয় এলওসি থেকে ১১৫ মিলিয়ন ডলার এবং ৪৫০ কোটি ডলারের তৃতীয় এলওসি থেকে ৭৬ মিলিয়ন ডলার এসেছে।

এসব প্রকল্পে ব্যয় সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে ভারতীয় ঠিকাদারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছে ঢাকা। প্রকল্প কর্মকর্তাদের সঙ্গেও আলাদা বৈঠক করা হচ্ছে। তার পরেও প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে ধীর গতি দেখা যাচ্ছে বলে জানায় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সূত্রটি।