হঠাৎ কাতার সফরে মার্কিন দুই মন্ত্রী

তালেবান আফগানিস্তান দখলের পর প্রথমবারের মতো কাতারের রাজধানী দোহায় (সোমবার ৬ সেপ্টেম্বর) সফরে এসেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তার সঙ্গে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী অস্টিন

তালেবান ১৫ আগস্ট কাবুল দখলের পর শীর্ষ দুই কর্মকর্তার কাতার সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। সফরে তারা কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

দুপক্ষের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কাতারের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, আফগানিস্তান থেকে নিরাপদভাবে মার্কিন সেনা ও নাগরিকদের সরিয়ে নিতে কাতারের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। এজন্য তিনি কাতারের আমিরকে ধন্যবাদ জানান। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, বৈঠকে দু’দেশের মধ্যে অন্যান্য দ্বিপক্ষীয় কূটনীতিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

খবরে বলা হচ্ছে, দোহায় যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ দুই কূটনীতিক আসলেও তারা তালেবানের কোনো প্রতিনিধির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি। তবে পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, যুক্তরাষ্ট্রর তালেবানের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ রক্ষা করবে। তাদের সঙ্গে আমেরিকার সুসম্পর্কের বিষয়টি এখন পরিষ্কার।

কাতার তাদের যুক্তরাষ্ট্র এয়ার বেজ থেকে অন্তত ৫৫ হাজার মানুষকে আফগান ত্যাগে সহায়তা দেয়। এই সংখ্যা আফগানত্যাগীদের মোট সংখ্যার অর্ধেক। সফরের আগে ব্লিঙ্কেন বলেন, কাতার যে আমাদের সহয়তা করেছে এবং ভাল আচরণ করেছে সেজন্য ধন্যবাদ জানাতেই মূলত এ সফর।

সফরে ব্লিঙ্কেন তাদের দূতাবাসের কর্মকর্তাদেরও সঙ্গেও দেখা করেছেন। কাবুলের পর এ অঞ্চলে দোহা দূতাবাসই যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান অবস্থান। ব্রিটেন ও নেদারল্যান্ডের কূটনীতিকদের সঙ্গেও তিনি দেখা করেন।

পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, বৈঠকে কাতারের পাশাপাশি তুরস্কের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। তুরস্কের সাথে আলোচনার বিষয় ছিল কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষা নিয়ে। যুক্তরাষ্ট্র চাচ্ছে দ্রুত কাবুল বিমানবন্দর যাতে খুলতে পারে সে চেষ্টা তাদের থাকবে।

তাছাড়া যুদ্ধপরবর্তী দুস্থ মানুষের সহায়তা ও আফগান ত্যাগে ইচ্ছুক বাকী নাগরিকদের তারা সহায়তা দিতে চায়।

দোহা থেকে ব্লিঙ্কেন বুধবার যাবেন জার্মানিতে। সেখানে কয়েক হাজার আফগান নাগরিক রয়েছে যারা যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তরিত হবে। জার্মানিতে তিনি ভার্চুয়ালি ২০ দেশের মিনিস্ট্রিয়াল বৈঠকে মিলিত হবেন। ওই মিটিংয়ে মধ্যে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো ম্যাসও অংশ নেবেন।

পররাষ্ট্র দপ্তর জানাচ্ছে, কাবুলে এখনও কিছু মার্কিন নাগরিক রয়ে গেছে। তবে তারা তাদের একান্ত নিজের ইচ্ছায় আফগানে থেকে গেছেন। তাদের সংখ্যা হবে ১০০ জনের কিছু বেশি। তাদের আফগান ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশের নাগরিকত্ব রয়েছে।