ভারতের ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় এবার আফগানিস্তান

ভারতের প্রথম ভাসমান ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা কেন্দ্র ‘আইএনএস অন্বেষ’-এর যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে। এটি থেকে নৌবাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র ও টর্পেডো ফায়ারিং এবং সেনাবাহিনীর ভূমি থেকে ভূমির কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো যাবে। আগে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর টার্গেট পাকিস্তানের ভূমি পর্যন্ত রাখা হলেও এর ফলে আফগানিস্তানকেও সেই টার্গেটে যুক্ত রাখা সম্ভব হয়েছে।

প্রথম ভাসমান ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকেন্দ্রের উদ্বোধন করতে যাচ্ছে ভারত, ফাইল ছবি

ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার করা নকশা এবং কোচিন শিপইয়ার্ড দ্বারা নির্মিত অন্বেষের সমুদ্র ট্রায়াল শুরু হবে আগামী শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর)। এ বছরের মধ্যেই এটি কমিশন পেয়ে যাবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। ১০ হাজার টনবিশিষ্ট অন্বেষের কমিশনিং হলে সেটি দ্বি-স্তরের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর চাপ কমাতে সক্ষম হবে। অন্বেষে সংযুক্ত বিএমডি সিস্টেম প্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষেপণাস্ত্রকে বিভিন্ন উচ্চতায় ধ্বংস করতে সক্ষম।

২০০ মিটার দৈর্ঘ্য, ৬০ মিটার প্রস্থের জাহাজটি ভারত মহাসাগরে ভাসমান অবস্থায় দেড় হাজার কিলোমিটার রেঞ্জে ক্ষেপণাস্ত্র চালাতে পারবে। এর ফলে ভারতের গুজরাট উপকূল থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হলে তা পাকিস্তান বা আফগানিস্তানের টার্গেটে আঘাত হানতে সক্ষম হবে। তবে গভীর সমুদ্রে অবস্থান করায় এর দ্বারা মানুষের ঘরবাড়ি বা সমুদ্রের যানবাহনের ক্ষতির আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অন্বেষে ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল মিসাইল ট্র্যাকিং, এস-ব্যান্ড রাডার ট্র্যাকিং, লঞ্চপ্যাড, টেলিমেট্রি ডিভাইসসহ নানা ধরনের প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পর ভারতই এ ধরনের প্লাটফর্মের মালিক হলো

২০১৫ সাল থেকে এই ভাসমান ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা কেন্দ্র তৈরির কাজ শুরু হয়। এর পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের কথা ছিল ২০২০ সালের মধ্যেই। কিন্তু নানা কারণে এতদিন তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। ভারতের এই ভাসমান ক্ষেপণাস্ত্র কেন্দ্রটি আপাতত ওড়িশা উপকূলের কাছে রাখা থাকবে।

এমন ভাসমান ক্ষেপণাস্ত্র প্লাটফর্ম ব্যবস্থা রয়েছে রয়েছে খুব কম দেশেরই। যুক্তরাষ্ট্র, চীনের পর এবার ভারতও তাতে যুক্ত হলো।

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে