হাসান আখুন্দকে কেন সরকারপ্রধান করা হল

আফগানিস্তানে তালেবানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হয়েছেন মোল্লা মোহাম্মদ আখুন্দ। এতদিন সরকার প্রধান হওয়ার দৌড়ে সকল আলোচনায় এগিয়ে ছিলেন আরেক প্রভাবশালী নেতা মোল্লা আবদুল গণি বারাদার। তিনি সর্বমহলে পরিচিত। অথচ তালেবান তাদের সরকার প্রধান বানাল মোল্লা মোহাম্মদ আখুন্দকে। কেন?

মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দ

এ ব্যাপারে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় কারণ হলো- তালেবান যোদ্ধাদের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা। ডেইলি পোস্ট।

গতকাল মঙ্গলবার তালেবান সরকারের প্রধান হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন মোল্লা মোহাম্মদ আখুন্দ। তালেবান মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ কাবুলে তার নিয়োগের ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেন। আখুন্দের ডেপুটি হয়েছেন বারাদার। মোল্লা মোহাম্মদ ওমরের ছেলে মোল্লা মোহাম্মদ ইয়াকুব সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হয়েছেন।

তালেবান

সিরাজউদ্দিন হাক্কানি হয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার পিতা ছিলেন হাক্কানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা। মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দের বিষয়ে আটটি তথ্য তুলে ধরেছে ডেইলি পোস্ট। সেগুলো হল-

এক. তালেবানের জন্মস্থান কান্দাহারেই আখুন্দের জন্ম, বয়স ৬০ বছর।

দুই. ১৭০০ সালের পর আধুনিক আফগানিস্তান গঠনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আহমাদ শাহ দুররানী, পশতুন উপজাতি থেকে আসা আখুন্দ সেই দুররানীর বংশধর।

তিন. মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দ ইসলামের ওপর অনেকগুলো বই লিখেছেন।

চার. তিনি মোল্লা মোহাম্মদ ওমরের সহযোগী ছিলেন।

পাঁচ. বর্তমান তালেবান প্রধান মোল্লা হাইবাতুল্লাহ আখুনজাদার খুব কাছের লোক আখুন্দ। দুই দশক ধরে তিনি আখুনজাদার সাথী।

ছয়. মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দ দীর্ঘ সময় ধরে তালেবানের শক্তিশালী রাহবারি শুরার প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন।

সাত. ধর্মীয় নেতার পাশাপাশি তিনি রাজনৈতিকভাবেও খুব পাকাপোক্ত। তার অবস্থান তালেবান যোদ্ধাদের মধ্যে খবুই প্রভাবশালী।

আট. আখুন্দ আগের তালেবান সরকারের (১৯৯৬-২০০১) ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তার আগে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন।

গত ১৫ আগস্ট কাবুল দখলের মাধ্যমে তালেবান আফগানিস্তানের কর্তৃত্ব হাতে নেয়। এর ফলে আফগানে ২০ বছর ধরে চলা পশ্চিমাদের তাবেদারি সরকারের পতন ঘটে। বিদায় নেয় পরাশক্তি আমেরিকা। তালেবানের মূল উদ্দেশ্য একটি কল্যাণমূলক ইসলামি সরকার প্রতিষ্ঠা।