তড়িঘড়ি স্বীকৃতি দেবে না ওয়াশিংটন, বৈধও মনে করে না

আফগানিস্তানে তালেবানের গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে তড়িঘড়ি স্বীকৃতি দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বুধবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বাইডেনে প্রশাসনে এমন একজন ব্যক্তিও নেই, যিনি তালেবানকে সম্মানিত মনে করেন কিংবা চান তালেবান সরকার বিশ্ব কাতারে অন্তর্ভুক্ত হোক।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি

সাকি বলেন, তালেবান কেয়ারটেকার সরকারে এমনও ব্যক্তি রয়েছে যারা যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল। আমরা এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বৈধ মনে করি না। আমরা তড়িঘড়ি তাদের স্বীকৃতিও দেব না। তালেবান আগে যেসব মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছিল, এবারও তার অনেকাংশ অব্যাহত রেখেছে।

হোয়াইট হাউস বলছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তালেবানের প্রতিটি পদক্ষেপকে সূক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। তারা আফগান ত্যাগে ইচ্ছুকদের সঙ্গে কি আচরণ করছে কিংবা নারী অধিকার রক্ষায় তাদের পদক্ষেপ কেমন হচ্ছে তা দেখা হচ্ছে।

তালেবান নেতৃবৃন্দ

সাকি বলছেন, আমরা আমাদের নাগরিকদের ও স্থানীয় যারা আমাদের সঙ্গে কাজ করেছিল তাদের ফিরিয়ে নিতে এখনও কাজ করছি তালেবানের সঙ্গে।

তবে যুক্তরাষ্ট্র তালেবান সরকারের ব্যাপারে সরাসরি নেতিবাচক মনোভাব দেখালেও চীন কিন্তু ইতবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। চীনা ঘোষণা দিয়েছে, তারা নতুন তালেবান সরকারের সঙ্গে কাজ করবে। পাকিস্তান-ইরানও ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তালেবান সরকার স্বীকৃতি পাবে তালেবানের কার্যক্রমের ওপর। কারণ পশ্চিমা বিশ্ব তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিতে চাইবে না এটা ধরে নেওয়া যায়। তবে তালেবানের আশার কথা হচ্ছে, তারা যুদ্ধকবলিত আফগানদের জন্য বিদেশিদের সহায়তা পাবে। জাতিসংঘ ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে, আমরা আফগান জনগণের পাশে আছি।

এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আফগান জনগণের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করেছেন। যদিও কয়েকটি দেশ থেকে প্রচ্ছন্ন বিরোধিতা রয়েছে। জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলও আফগান জনগণের পাশে থাকার জন্য মানবিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন। তবে তালেবান সরকারের স্বীকৃতির ব্যাপারে তিনি এখনও মুখ খোলেননি।