কাবুল থেকে প্রথম বেসামরিক ফ্লাইট গেল কাতারে

বদলে যাওয়া আফগানিস্তান থেকে প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক বেসামরিক যাত্রীবাহী ফ্লাইট যাত্রা শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার কাবুল থেকে যাওয়া কাতারের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কাতার এয়ারওয়েজ পরিচালিত ফ্লাইটটি দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। কাতারের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, কাবুল বিমানবন্দরটি চালু হয়েছে ও চলমান থাকবে।

তালেবান প্রশাসন দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইট

আফগানিস্তানে কাতারের বিশেষ দূত মুতলাক আল-কাহতানি বৃহস্পতিবার বলেন, বিমানবন্দরটি কার্যক্রম চালানোর জন্য ৯০ শতাংশ প্রস্তুত। ধীরে ধীরে এটি পুরোপুরি চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি বলেন, আফগানিস্তানের ইতিহাসে আজকের দিনটি একটি ঐতিহাসিক দিন। কারণ কাবুল বিমানবন্দরটি কাজ পরিচালনার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। আমরা অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি, তারপরও আমরা বলতে পারি যে বিমানবন্দরটি কার্যক্রম চালানোর জন্য প্রস্তুত।

কাতার এয়ারওয়েজের বিমানটি দিনের শুরুর দিকে বিভিন্ন সাহায্য সামগ্রী নিয়ে কাবুলে এসে পৌঁছায়। ফেরত যাওয়ার সময় এটি যাত্রী নিয়ে কাতারের দোহার উদ্দেশে রওনা হয়, যার মধ্যে ছিল ১০০ থেকে ১৫০ বিদেশিদের একটি বড় দল।

ফ্লাইটে ওঠার আগে অপেক্ষমাণ যাত্রীরা

কাবুল থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের শেষ সময়ে এসে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতির কারণে বিমানবন্দরের বেশ কিছু সিস্টেম ও জিনিস বিনষ্ট হয়। কাতার ও তুরস্কের ইঞ্জিনিয়াররা সেগুলোকে সারিয়ে তুলতে সহায়তা করেন। তালেবান মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ কাতারকে বিমানবন্দরটি সচল করতে এবং আফগানিস্তানে মানবিক সাহায্যের জন্য কাতারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, নিকট ভবিষ্যতে বিমানবন্দরটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটসহ সব ধরনের ফ্লাইটের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে।

আল-কাহতানি এর আগে বলেছিলেন, আগস্টের শেষে আমেরিকান বাহিনী চলে যাওয়ার পর কাতার এয়ারওয়েজের বিমানটি কাবুল বিমানবন্দর থেকে প্রথম আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক ফ্লাইট হবে। শুক্রবার আরেকটি ফ্লাইট যাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আফগানিস্তানে জীবন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে।

তবে অ্যাভিয়েশন বিশ্লেষক অ্যালেক্স মাচেরাস দাবি করেন, এটি একটি চার্টার ফ্লাইট, বাণিজ্যিক ফ্লাইট নয়। কারণ বাণিজ্যিক ফ্লাইটে অর্থের বিনিময়ে যাত্রীদের কাছে টিকিট বিক্রি করা হয়। এ ফ্লাইটে যা হয়নি। তাই এটি কোনোভাবেই বাণিজ্যিক ফ্লাইট নয়।

সূত্র: আল জাজিরা