শপথের জন্য বেছে নেওয়া হলো সেই নাইন-ইলেভেনকেই

দুই দশক ক্ষমতার বাইরে থাকার পর গত ১৫ আগস্ট কাবুল দখলে নেয় তালেবান। অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করতে সময় নেয় আরো তিন সপ্তাহ। ৭ সেপ্টেম্বর তারা মোটামুটি পূর্ণাঙ্গ একটি কেবিনেট ঘোষণা করে। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার জানায়, আগামী ১১ সেপ্টেম্বর তারা শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা করেছে।

তালেবান মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ

২০০১ সালের এই ১১ সেপ্টেম্বর বা নাইন-ইলেভেনেই হামলা চালানো হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের আইকন হিসেবে পরিচিত টুইন টাওয়ারে। যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই ওই হামলার জন্য আল কায়েদাকে দায়ী করে, আর হামলায় সহযোগিতার জন্য দায়ী করে তালেবানকে। অন্যদিকে, তালেবান অভিযোগ অস্বীকার করে এবং ওসামা বিন লাদেনকেও হামলার জন্য দায়ী মনে করে না। 

সেই সেপ্টেম্বর আসার আগেই যুক্তরাষ্ট্রকে সব সেনা প্রত্যাহারে বাধ্য করেছে তালেবান। বিশেষকরে, আলোচিত সেই তারিখেই (নাইন-ইলেভেন) শপথ নিতে যাচ্ছে তালেবান সরকার। চীন, তুরস্ক, পাকিস্তান, ইরান, কাতার, ভারতের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রকেও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

আফগানিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী মোল্লা হাসান

আফগানিস্তানের নতুন সরকার সব দেশের কাছে স্বীকৃতি চাইছে। চীন, তুরস্ক, ইরান, রাশিয়া, পাকিস্তান, কাতারসহ বিভিন্ন দেশ এরই মধ্যে তালেবান সরকারের সাথে কাজ করার ঘোষণা দিলেও স্বীকৃতির প্রশ্নে সবাই একটু সময় চাইছে।

এ ব্যাপারে তালেবানের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, যুদ্ধ শেষ হয়েছে, দেশ সংকট থেকে বের হচ্ছে। এখন শান্তি ও পুনর্গঠনের সময়। এ অবস্থায় আফগানিস্তানের স্বীকৃতি পাওয়ার অধিকার আছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত কাবুলে তাদের দূতাবাস খোলা।

স্বীকৃতি না দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তালেবান। তাদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্র অন্তর্বর্তীকালীন তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি না দিয়ে দোহা শান্তি চুক্তি লঙ্ঘন করছে।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, ইন্ডিয়া টুডে