ইরানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনল ইসরায়েল

ইরানের বিরুদ্ধে মিলিশিয়াদের ড্রোন প্রশিক্ষণের অভিযোগ করেছে ইসরায়েল। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গান্তজ আজ রোববার ইরানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনেন। তার দাবি, ইরানের ইসফাহান শহরের কাছে একটি বিমানঘাঁটিতে বিদেশি মিলিশিয়াদের ড্রোন প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ইরান।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গান্তজ

ওমান জলসীমায় ইসরায়েল পরিচালিত একটি তেল ট্যাঙ্কারে গত ২৯ জুলাই হামলা হয়। ইসরায়েল হামলার দোষ চাপায় ইরানের ওপর। এতদিন পর আবারও ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলল। ওই হামলার ঘটনায় ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যও ইরানের বিরুদ্ধে সুর মেলায়। তবে তেহরান হামলার অভিযোগ মিথ্যা উল্লেখ করে তা নাকচ করে দেয়। মার্কিন সামরিক বাহিনী বিস্ফোরক উপাদান বিশ্লেষণ করে ইরানের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার দাবি করেছে।

ইসরায়েল মূলত ইরানের ওপর হামলার ভয় দেখিয়ে এবং কূটনৈতিকভাবে চাপ সৃষ্টি অব্যাহত রেখেছে। ইসরায়েল চাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যাতে পারমাণবিক চুক্তিতে ফের সফল না হতে পারে ইরান। তেলআবিবের দাবি, ইরান আঞ্চলিক শক্তি আরও বাড়াতে মিলিশিয়াদের প্রশিক্ষণ অব্যাহত রেখেছে।

সম্প্রতি গাজা নামে ড্রোন উন্মোচন করে ইরান

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গান্তজ নিজেকে বার বার ইরানের বিরুদ্ধে উপস্থাপন করে বলছেন, ইরান কাশান বিমানঘাঁটিতে নিয়মিত মিলিশিয়া প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। বিশেষ করে, ড্রোন প্রশিক্ষণ দিয়ে আঞ্চলিক প্রভাব আরও বাড়াতে তারা মরিয়া। ইসরায়েলের অভিযোগ, ইরান চায় ইয়েমেন, ইরাক, সিরিয়া এবং লেবাননে ড্রোন প্রযুক্তি আরও জোরদার করতে। যাতে এ অঞ্চলে তাদের প্রভাব প্রতিপত্তি দিন দিন বৃদ্ধি পায়।

তেলআবিবের রিচম্যান ইউনিভার্সিটির কাছে এক সম্মেলনে বেনি গান্তজ এদিন বলেন, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ড্রোন প্রযুক্তি হস্তান্তরের পরিকল্পনাও করছে ইরান। গাজায় ড্রোন তৈরি করতে পারলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিরা সহজে ড্রোন হামলা বাড়াতে পারবে বলেও মনে করেন গান্তজ। তবে ইসরায়েলের সবশেষ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইরানের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সূত্র: রয়টার্স