ইরান: এই কলঙ্ক মুছতে পারবে না বাহরাইন

গেল বছর সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ চুক্তির মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের শত্রুতার আনুষ্ঠানিক অবসান ঘটায় ইসরায়েল ও বাহরাইন। এরপর ‘রুটিন ওয়ার্ক’ চললেও এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে দেশটি সফরে গেছেন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ায়ির লাপিদ। এই সফরকে ‘ঐতিহাসিক’ হিসেবে বর্ণনা করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।

বাহরাইনে ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ইরানের পতাকা

তবে এই ঘটনার কঠোর নিন্দা ও সমালোচনা করে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবজাদে বলেন, এই সফরের মধ্য দিয়ে অমোচনীয় কলঙ্কের ভাগীদার হলেন বাহরাইনের শাসকরা। এর ফলে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে উত্তেজনা ও অস্থিতিশীলতা বাড়বে।

ওই এলাকায় ইসরায়েলের ধ্বংসাত্মক উপস্থিতি জোরদার করার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতিদিন ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বরতা চালানো ইসরায়েলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়েছে কয়েকটি আরব দেশ। তারা মুসলিম উম্মাহর পিঠে ছুরিকাঘাত করে তেল আবিবের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করেছে।

সাঈদ খাতিবজাদে, ফাইল ছবি

বাহরাইনে দূতাবাস খুললেও ইসরায়েল বৈধতা পাবে না উল্লেখ করে ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরো বলেন, এই প্রকল্প আল-কুদস বা বায়তুল মোকাদ্দাস মুক্ত করার প্রচেষ্টায় কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে না। দখলদারদের কবল থেকে মুসলমানদের পবিত্র ভূমি রক্ষা করা হবে।

দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার পর ইসরায়েলি কোনো শীর্ষ কর্মকর্তা বা কূটনীতিকের এটিই প্রথম বাহরাইন সফর। বাহরাইনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আমন্ত্রণে লাপিদের এই সফর উল্লেখ করে তেল আবিব জানায়, এ সফরে মানামায় ইসরায়েলি দূতাবাস উদ্বোধন ছাড়াও উভয় দেশের মধ্যে কয়েকটি চুক্তি সই হবে।

বাহরাইন ও ইসরায়েলের চুক্তি, ফাইল ছবি

এদিকে, ইসরায়েলি মন্ত্রীর সফরের প্রতিবাদে দেশটির রাজপথে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন বিপুল সংখ্যক বাহরাইনি। এ সময় তেল আবিবের বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে দেখা গেছে তাদের। অনলাইনেও ইসরায়েলবিরোধী হ্যাশট্যাগ দিয়ে প্রতিবাদ চলছে।

প্রসঙ্গত, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপের মুখে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে কয়েকটি আরব দেশ। এর মধ্যে রয়েছে- সংযুক্ত আরব আমিরাত, মরক্কো, বাহরাইন ও সুদান। ওই অঞ্চলের মিশর, জর্ডান ও তুরস্কের সঙ্গে ইসরায়েলের আগে থেকেই সম্পর্ক রয়েছে। সৌদি আরবও গোপনে তেল আবিবের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলেছে বলে জানা যায়।