শরণার্থীদের কথা লিখে সাহিত্যে নোবেল

তানজানিয়ার কথা সাহিত্যিক আব্দুল রাজাক গুরনাহ চলতি বছরের সাহিত্যে নোবেল পেয়েছেন। সুইডিশ একাডেমি আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ২০২১ সালের সাহিত্যে নোবেল জয়ী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করে। প্যারাডাইস নামে তার চতুর্থ উপন্যাসের জন্য এই সম্মাননা পেলেন তিনি।

আব্দুল রাজাক গুরনাহ

১৯৪৮ সালে আব্দুল রাজাক গুরনাহ তানজানিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বেড়ে উঠেন ভারত মহাসাগরের জানজিবার দ্বীপে। তবে ১৯৬০ এর দশকের শেষ দিকে তিনি শরণার্থী হিসেবে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান। এরপর থেকে ইংল্যান্ডেই সাহিত্য চর্চা করছেন আব্দুল রাজাক গুরনাহ।

সুইডিশ একাডেমির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আব্দুল রাজাক গুরনাহ ঔপনিবেশিকতার প্রভাব নিয়ে আপসহীন ও সহানুভূতিশীল লেখনি উপহার দিয়েছেন। এ জন্য তাকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে শরণার্থীদের জীবন এবং তাদের সাংস্কৃতিক সংকট নিয়ে লিখেছেন তিনি।

জানা যায়, ইউনিভার্সিটি অব কেন্টের অধ্যাপক ছিলেন তিনি। এ ছাড়া ওয়াসাফিরি নামের একটি জার্নালেও সহযোগী সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন এই সাহিত্যিক। এর আগে গত বছর সাহিত্যে নোবেল পেয়েছিলেন মার্কিন কবি লুইস গ্লুক।

গত ৪ অক্টোবর প্রথম চলতি বছরের চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এ বছর চিকিৎসা বিজ্ঞানে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ডেভিড জুলিয়াস এবং আর্ডেম প্যাটাপৌসিয়ান। তাপমাত্রা ও স্পর্শের রিসেপ্টর আবিষ্কারের জন্য তাদের এই সম্মানের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে পদার্থ বিজ্ঞানেও নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এবার পদার্থে নোবেল পেয়েছেন তিন জন। তারা হলেন— জার্মান পদার্থ বিজ্ঞানী ক্লাউস হাসেলমান, জাপানি আবহাওয়াবিদ স্যুকুরো মানাবে এবং ইতালিয়ান পদার্থবিদ জর্জিও পারিসি।

অপরদিকে, জার্মানির বেঞ্জামিন লিস্ট ও যুক্তরাষ্ট্রের ডেভিড ম্যাকমিলান চলতি বছর রসায়নে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। অ্যাসাইমেট্রিক অর্গানোক্যাটালাইসিস নামক অণু তৈরির নতুন এক কৌশল আবিষ্কারের কারণে তাদের এ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। আগামী ১১ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হবে।

উল্লেখ্য, স্যার আলফ্রেড নোবেলের নামানুসারে ১৯০১ সাল থেকে এই সম্মানজনক পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। ডিনামাইটের আবিষ্কারক আলফ্রেড ৩ কোটি ১০ লাখ ক্রোনার রেখে যান, বর্তমান বাজারে যা প্রায় ১৮০ কোটি ক্রোনের সমান। তার রেখে যাওয়া ওই অর্থ থেকেই বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এ পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে।

জানা যায়, শুরুতে তথা ১৯০১ সালে রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান, চিকিৎসা বিজ্ঞান, সাহিত্য এবং শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ১৯৬৮ সালে এর সঙ্গে অর্থনীতিতেও নোবেল দেওয়া শুরু হয়।