জেরুজালেমে ফিলিস্তিনি কনস্যুলেট, অসন্তুষ্ট ইসরায়েল

পূর্ব জেরুজালেমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের বন্ধ হয়ে যাওয়া ফিলিস্তিনি কনস্যুলেট পুনরায় খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। কনস্যুলেটটি অতীতে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রতি ডি-ফ্যাক্টো দূতাবাস হিসেবে ব্যবহার হতো। ইসরায়েলি অনলাইন আরতুজ শেবা সেভেন খবরটি দিয়েছে।

জেরুজালেমের আল আকসার পাশে ইহুদিরা

আল কুদস (জেরুজালেম) গতকাল মঙ্গলবার জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পূর্ব জেরুজালেমে একটি সরকারি কূটনৈতিক কনস্যুলেট খোলার পরিকল্পনা করছে। তেল আবিব থেকে দূতাবাসটি পশ্চিমে সরানো হচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসনের সময় বন্ধ হয়ে যায় কনস্যুলেটটি। এটি ফিলিস্তিনে আমেরিকান মিশনের ডি-ফ্যাক্টো সদর দপ্তর হিসেবে কাজ করত।

খবরে বলা হচ্ছে, কয়েক সপ্তাহ ধরে পূর্ব জেরুজালেমে একটি নতুন কনস্যুলেটের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে কার্যক্রম চালাতে এটি ব্যবহার করা হবে। কিন্তু ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট এ ধরনের পদক্ষেপের তীব্র বিরোধী। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা এ বিষয়ে অনড় রয়েছেন।

নাফতালি বেনেট

বাইডেন প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ এক আমেরিকান সূত্রের মতে, কনস্যুলেটটি নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে খুলবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইসরায়েলি নেসেটে অনুমোদনের পর এটি বাস্তবায়ন করা হবে। কিন্তু ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার লাপিদের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বিষয়টি অস্বীকার করেছে।

তারা জোর দিয়ে বলেছে, ইস্যুতে কোনো পরিবর্তন হয়নি এবং কনস্যুলেট খোলার জন্য ইসরাইলের সাথে কোনো চুক্তি নেই। তবে ফিলিস্তিনি আরব পত্রিকার মতে, হোয়াইট হাউজ জুডিয়া ও সামারিয়া ভূখণ্ডে ইসরাইলের আচরণ নিয়ে অসন্তুষ্ট।

তবে লিকুদ পার্টির নেতা এমকে নীর বরকত টুইট করেছেন, ফিলিস্তিনি কনস্যুলেট খোলা সম্ভব নয়, যা ইহুদিদের চিরন্তন রাজধানী জেরুজালেমকে বিভক্ত করবে। এমকে ওরিট স্টর্ক বলছেন, ফিলিস্তিনি কনস্যুলেট প্রতিষ্ঠা জেরুজালেমের বিভাজনকে উস্কে দেবে, যা একটি ভয়ঙ্কর ব্যাপার।