'পাগলাটে' এক ম্যাচ দেখল ফুটবল বিশ্ব

ইংলিশ ফুটবলের ইতিহাসে অন্যতম সফল দুই দলের লড়াই। উপভোগ্য একটা ম্যাচ দেখতে বসেছিলেন দর্শকরা। তাদের নিরাশ করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ঘরের মাঠে লিভারপুলের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি রেড ডেভিলসরা। স্রেফ উড়ে গেছে খড়কুটোর মতোই। লিভারপুল জিতেছে ৫-০ গোলে। হ্যাটট্রিক করেছেন মোহাম্মদ সালাহ।

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো

রোববার রাতে নিজেদের দর্শকদের সামনে এমনই লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে পড়তে হয় ওলে গানার সুলশারের দলকে। ৬৬ বছর পর ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে পাঁচ গোল হজম করল ইউনাইটেড। ২০১১ সালেও পাঁচ গোলের ব্যবধানে হেরেছিল তারা। ঠিক দশ বছর একদিন আগে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ডার্বি ম্যাচে ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল রেড ডেভিলসরা।

রোববার রাতের হারটা মনে করিয়ে দিয়েছে সেই ডার্বিটার ফলটাও। সবমিলিয়ে দুঃস্বপ্নের একটা ঝড় বয়ে গেল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ওপর দিয়ে। আরো হতাশার বিষয় হচ্ছে, লিভারপুল ম্যাচে শুরু থেকেই একাদশে ছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। কিন্তু ম্যাচজুড়ে নিজের ছায়া হয়ে খেলেছেন পর্তুগিজ যুবরাজ।

ইয়ুর্গেন ক্লপ

বিধ্বস্ত হওয়ার পর দলের বিব্রতকর হারের দায় কাঁধে নিলেন রোনালদো। বলেছেন, 'আমরা খুব হতাশ। আমাদের পারফরম্যান্স যথেষ্ট ভালো ছিল না এবং এটা অনেক কষ্ট দিচ্ছে। ফুটবল দলীয় খেলা এবং আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। তবে এই হারের দায় আমাদের নিতে হবে। আমি কয়েক সপ্তাহ ধরে সেরা ছন্দে নেই। আমার মনোযোগ দেওয়া দরকার।'

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে তাদেরই মাঠে উড়িয়ে দেওয়ার পর রীতিমতো উড়ছে লিভারপুল। প্রশংসায় ভাসছেন দলটির কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ ও খেলোয়াড়রা। তবে ম্যাচটা যে এভাবে জিতবেন সেটা কল্পনাও করেননি জার্মান কোচ, 'ক্লাবের ইতিহাসে এই জয় ছোট একটা অধ্যায়। মানুষজন এটা নিয়ে অনেক দিন কথা বলবে। এটা পাগলাটে ফল এবং বিশেষ কিছু। কিন্তু আমরা হতাশা উদযাপন করব না। কারণ প্রতিপক্ষের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আছে।'

শ্রদ্ধা থাকারই কথা। গত বছরের অক্টোবরে এমন বাজে একটা হারের অভিজ্ঞতা হয়েছিল লিভারপুলেরও। অ্যাস্টন ভিলার মাঠে গিয়ে অল রেডরা হেরেছিল ৭-২ গোলে। ফুটবল এমনই, কখন যে কার কী হাল হয় বলা মুশকিল। লিভারপুল কোচ যথার্থই বলেছেন, এ ধরনের পাগলাটে ম্যাচ নিয়ে অনেক দিন আলোচনা হয়।