সরবরাহ চেইন শক্তিশালী চান বিশ্বনেতারা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং অন্যান্য ১৬ জন বিশ্বনেতা বিশ্বব্যাপী সরবরাহ চেইনকে আরও শক্তিশালী করার পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেছেন। ভবিষ্যতের যে কোনো স্বাস্থ্য সংকটের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন এবং এমনকি পরিকল্পিত আক্রমণের মুখে পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে তারা এই চিন্তা করছেন। জি-২০ সম্মেলনের সাইডলাইনে গতকাল রোববার বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। মেট্রো নিউজ।

জি-২০ সম্মেলন

খবরে বলা হচ্ছে, নেতারা মনে করেন, বিশ্বব্যাপী মহামারিজনিত অর্থনীতি মন্দা থেকে বেরিয়ে আসার ও পুনরুদ্ধারের ধীরগতির কারণে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে এসব দেশ মূল্যস্ফীতি বাড়িয়েছে।

বাইডেন বলেন, সরবরাহ লাইনে আমরা যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি তা কমাতে বেসরকারি খাতের অংশীদারদের সাথে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। ভবিষ্যতে যাতে সমস্যাটি আবার না দেখা দেয় সেজন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। মহামারির পর আমরা বুঝতে পারছি, বিশ্ব বাণিজ্যের সরবরাহ লাইনগুলো কতটা দুর্বল। জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং পরিকল্পিত আক্রমণের মুখে আমাদের স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে হবে।

জো বাইডেন

বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, কানাডা, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, জার্মানি, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, ইতালি, জাপান, মেক্সিকো, নেদারল্যান্ডস, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, সিঙ্গাপুর ও স্পেনের নেতা-প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

বৈঠক শেষে হোয়াইট হাউসের একটি নোটে বলা হয়েছে, দেশগুলো সরবরাহ লাইন আরও শক্তিশালী করতে একসাথে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। আরও স্বচ্ছতা, তথ্য আদান-প্রদান এবং নির্ভরযোগ্য সরবরাহ লাইন তৈরিতে একসাথে কাজ করতে সম্মত হয়েছে সবাই।

নোটে আরও বলা হয়, দেশগুলোর উচিত যে কোনো অপ্রয়োজনীয় বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা এড়ানো এবং পণ্য ও পরিষেবার অবাধ প্রবাহ বজায় রাখা। বৈঠকে নেতারা নিরাপত্তা, বিশেষ করে প্রযুক্তি, সরবরাহ লাইন এবং ন্যায্য ও টেকসই শ্রম পরিস্থিতি সৃষ্টির উপর জোর দেন। লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য বেসরকারি খাতের সাথে কাজ করার অঙ্গীকার করা হয়।