মরিসনের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ ম্যাক্রোনের

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ এনেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোন। তিনি জানান, সাবমেরিন চুক্তির ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী তাকে মিথ্যা বলেছেন। ইতালির রোমে জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ম্যাক্রোন বলেন, সাবমেরিন চুক্তির ব্যাপারে মরিসন অসত্য ছিলেন। কিন্তু এটা আমার জন্য অভাবনীয়। বিবিসি।

মুখোমুখি ইমানুয়েল ম্যাক্রোন ও স্কট মরিসন

অস্ট্রেলিয়া ১২টি সাবমেরিন নির্মাণের জন্য ৩৭ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি বাতিল করে ফ্রান্সের সাথে। এর পরিবর্তে দেশটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের সাথে নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। তবে ম্যাক্রোনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী মরিসন।

গত সেপ্টেম্বরে ফ্রান্স-অস্ট্রেলিয়া বিরোধ শুরু হওয়ার পর জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে দেশ দুটির মধ্যে প্রথম বৈঠক হল। রোমে সম্মেলনের ফাঁকে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোনকে একজন অস্ট্রেলিয়ান সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করেন, তিনি মরিসনকে বিশ্বাস করতে পারেন কিনা। জবাবে ম্যাক্রোন বলেন, আমরা দেখব তিনি (মরিসন) কী পদক্ষেপ নেন।

জি-২০ সম্মেলন

ম্যাক্রোন বলেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে। আমাদের দরকার সত্যের পক্ষে অবস্থান ও সম্মান বজায় রাখা।

আলোচিত ওই চুক্তি বাতিলের পর ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কে ফাটল ধরে। ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাঁ-ইভেস লে ড্রিয়ান অস্ট্রেলিয়াকে ফ্রান্সের পিঠে ছুরিকাঘাত করার অভিযোগ তোলেন। ক্ষুব্ধ হয়ে প্যারিস অস্থায়ীভাবে অস্ট্রেলিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার করে।

ম্যাক্রোনের ক্ষোভের জবাবে অস্ট্রেলিয়া জানায়, ফ্রান্সের সঙ্গে করা চুক্তি অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা চাহিদা পূরণ করতে পারবে না। তবে দুই দেশের মধ্যে আস্থা ও সম্পর্ক পুনর্গঠন ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে বলে জানান মরিসন। ওই রেষারেষির পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও ২৬ অক্টোবর ম্যাক্রোনের সাথে প্রথম মুখোমুখি বৈঠক করেন।

খবরে বলা হয়, প্রতিরক্ষা চুক্তিটি অস্ট্রেলিয়াকে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রদত্ত প্রযুক্তি ব্যবহার করে পারমাণবিক সাবমেরিন তৈরি করতে সহায়তা দেবে। এটি কয়েক দশকের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব চুক্তির একটি। চীন এই চুক্তিকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে নিন্দা করেছে।