কিউবান সরকারের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী বিক্ষোভ

বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার মানুষ কিউবান সরকারের বিরুদ্ধে গতকাল সোমবার বিক্ষোভ করেছে। গণতন্ত্র ও জেলে বন্দি শত শত মানুষের মুক্তির দাবিতে দেশটিতে যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল তা দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। কিউবার চেয়ে অন্যান্য দেশে আরও বড় সমাবেশ হতে দেখা গেছে। আনাদোলু এজেন্সি।

কিউবা সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ

খবরে বলা হচ্ছে- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আর্জেন্টিনা, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র এবং অন্যান্য দেশে বিক্ষোভে নামে জনতা। বিক্ষোভকারীরা কিউবায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবি জানায়। গত জুলাই মাসে কিউবায় সরকারবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। ওই বিক্ষোভ থেকে শত শত লোককে গ্রেপ্তার করে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের আমেরিকা বিভাগের পরিচালক হোসে মিগুয়েল ভিভানকো বলেছেন, কিউবা সরকার নিরাপত্তা বাহিনীর বহু সদস্য মোতায়েন করেছে। অনেক সাংবাদিক ও সমালোচক তাদের নিজ বাড়িতে অবরুদ্ধ রয়েছেন। কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।

কিউবার অভ্যন্তরে বিক্ষোভ

সরকারের ভিন্নমতাবলম্বীরা ‘আর্কিপিলাগো’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে ২০ নভেম্বরের সমাবেশের পরিকল্পনা করে। কিন্তু কিউবান কর্তৃপক্ষ ২০ তারিখকে ‘জাতীয় প্রতিরক্ষা দিবস’ পালনের ঘোষণা দিলে তারিখ পরিবর্তন করে ১৫ নভেম্বর করা হয়। যদিও কিউবান কর্তৃপক্ষ সব ধরনের বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করে। তবুও বিক্ষোভকারীরা প্রতিবাদ জানানোর সিদ্ধান্তে অনড় থাকে।

কিউবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রদ্রিগেজ জনতার বিক্ষোভকে ‘ব্যর্থ অভিযান’ বলে অভিহিত করেন। কিউবান কর্তৃপক্ষ বরাবরই সকল বিক্ষোভের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করে আসছে। তাদের অভিযোগ, কিউবার জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা পরিবর্তন করে দেশটিকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টায় লিপ্ত যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে, কিউবা সরকারকে বিক্ষোভের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, কিউবানদের অধিকারকে সম্মান করার জন্য দেশটির সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। জনগণের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও বিক্ষোভের অনুমতি দেওয়া হোক। তথ্যের অবাধ আদান-প্রদানের জন্য ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ লাইন খোলা রাখারও আহ্বান জানান তিনি।

এর আগে গত ১২ নভেম্বর কিউবার রাষ্ট্রপতি মিগুয়েল দিয়াজ ক্যানেল সতর্ক করে বলেন, তার সমর্থকরা বিপ্লব রক্ষা করতে প্রস্তুত।