ইমরান: ‘মানসিক দাসত্ব’ থেকে বেরুতে হবে মুসলমানকে

মানসিক দাসত্ব শারীরিক দাসত্বের চেয়ে অনেক বেশি বিপজ্জনক। ঔপনিবেশিকতার কারণে মুসলমানরা বিশ্বজুড়ে মানসিক দাসত্বের শিকার হয়েছে। এই শৃঙ্খল ভাঙতে হবে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গতকাল সোমবার দেশটির জেলুমে আল-কাদির বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন। ওই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের আধুনিক বিজ্ঞানের পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষা, সুফিবাদ ও উচ্চ নৈতিকতার বিষয়গুলো শেখানো হয়। দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

আল-কাদির বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিচ্ছেন ইমরান খান

ইমরান খান আক্ষেপ করে বলেন, মুসলিম নেতা, যোদ্ধা, প্রজ্ঞাবান ও সংস্কারকদের জীবন নিয়ে গবেষণা করার মতো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় পাকিস্তানে নেই। অথচ আমি সর্বদা এমন একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করার স্বপ্ন দেখেছিলাম। ইসলাম ও বিজ্ঞান উভয়ই একে অপরের পাশাপাশি কাজ করেছে। তাদের মধ্যে সম্প্রীতি ছিল। আল-বিরুনি ও অন্যদের পড়ুন, আল্লাহর সাথে তাদের দৃঢ় সম্পর্ক ছিল।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় সত্য কথা বলা এবং ন্যায়বিচার প্রদানের ওপর জোর দেন। বলেন, রাসূল হিসেবে পরিচিতি পাওয়া আগে থেকেই সত্য কথা বলা ছিল মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর গুণ। তিনি মুসলমানদের যে নেতৃত্বের ধারণা দিয়েছিলেন, তা এখন থেকে পাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তরুণদের দেয়া হবে। আমরা আমাদের ছাত্রদের থেকেই এটা শুরু করবো।

আল-কাদির বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অ্যাকাডেমিক ব্লক উদ্বোধন করেন ইমরান খান

পশ্চিমা সংস্কৃতির ব্যাপারে তিনি বলেন, আজকের তরুণরা অনেকাংশে বিভ্রান্ত। তারা পশ্চিমা সংস্কৃতি অধ্যয়ন করে এবং এর দ্বারা বিভ্রান্ত হয়। পশ্চিমা সংস্কৃতি যে পারিবারিক জীবনে বিপর্যয়কর প্রভাব ফেলছে তা নিয়ে গবেষণা করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আহ্বান জানান তিনি।

নেতৃত্বের ব্যাপারে তিনি বলেন, একজন স্বার্থপর ও কাপুরুষ কখনো নেতা হতে পারে না। শিক্ষার্থীদের এই দিকগুলো সম্পর্কে শিক্ষিত করা গুরুত্বপূর্ণ যাতে তারা যখন ভবিষ্যতের নেতা হয়, তখন নিকটজন-বন্ধুদের উচ্চস্থানে নিয়োগ এবং দুর্নীতি করার চেয়ে দেশের অগ্রগতির কথা ভাবে।