আফগানিস্তান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে এক হাত নিল ইরান

মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসা তালেবান সরকারের পতন ঘটে ২০০১ সালে। টানা দুই দশকের যুদ্ধে পশ্চিমাদের হটিয়ে গত ১৫ আগস্ট দ্বিতীয়বার দেশটির ক্ষমতায় ফেরে সংগঠনটি। এতে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান ঘটলেও একটি জটিল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে আফগানরা।

আফগানিস্তান ছাড়ছে মার্কিন সেনারা, ফাইল ছবি

এই অবস্থার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ২০ বছরের দখলদারিত্ব এবং ভুল নীতিকে দায়ী করেছে ইরান। গতকাল রোববার দেশটির সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলী শামখানি তার দেশের এই অবস্থান জানিয়েছেন। এদিন তিনি তেহরান সফররত কিরগিজস্তানের নিরাপত্তা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান তালাতবেক মাসাদিয়াকভের সঙ্গে বৈঠক করেন।

আফগান সংকটের বিষয়ে আলী শামখানি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এই সমস্যার সমাধানে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও টেকসই নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। সেজন্য দেশটির সকল নৃগোষ্ঠীর সমন্বয়ে জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।

ইরান-কিরগিজস্তান নিরাপত্তা বৈঠক

পার্সটুডে জানায়, বৈঠকে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নানা ইস্যুতে আলোচনা করেছেন দুই দেশের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা। সেইসঙ্গে দ্বিপক্ষিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেন তারা। এ সময় তেহরান-বিশকেকের রাজনৈতিক, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা হয়।

এদিকে, শান্তিচুক্তি করে আফগানিস্তান ছাড়ার পর তালেবানের নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তী সরকারের সঙ্গে প্রথমবারের মতো বৈঠক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। সম্প্রতি কাতারের রাজধানী দোহায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে উভয় দেশের মধ্যকার সম্পর্কে নতুন অধ্যায়ের সূচনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানানো হয়।