কাবুলে যুবক নিহত, দুই তালেবান সেনা আটক

তালেবান যোদ্ধারা কাবুলে একটি বাগদান অনুষ্ঠানে যোগদানকারী এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে। কাবুলের দুই পুলিশ ডিস্ট্রিক্টে কর্মরত একজন তালেবান যোদ্ধা ফয়সাল (২০) নামের যুবককে গুলি করে। প্রত্যক্ষদর্শী এবং তার চাচা জানান, ফয়সাল বিয়েতে অংশ নিয়েছিলেন। তাদের চেকপোস্টে থামতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এবং তারা তা করেছিল। কিন্তু পরের চেকপোস্টে তাদের গুলি করা হয়। এ ঘটনায় দুই তালেবান সেনাকে আটক করা হয়েছে। খামা প্রেস।

তালেবান যোদ্ধাদের গুলিতে নিহত যুবক

ফয়সালের চাচা জানান, আমার বাগদান অনুষ্ঠান থেকে আমরা ফিরে আসছিলাম এবং কুওয়া-ই-মারকাজে তালেবানের একটি চেকপোস্টে আমাদের থামতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আমরা থামলাম এবং তালেবান সেনারা তল্লাশি করল। তারপর তারা আমাদের যেতে অনুমতি দিল। কিন্তু আমরা যখন গেলাম তখন সেখানে আরও চার তালেবান সেনা ছিল যারা গুলি শুরু করে। এ সময় ফয়সাল গুলিবিদ্ধ হয়।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইদ খোস্তাই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, লোকদের একটি চেকপোস্টে থামতে বলা হয়েছিল এবং মুজাহিদিনরা ফয়সালের উপর গুলি ছুড়তে শুরু করলে ফয়সাল আহত হন। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছিল। ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে।

আফগানিস্তানে বিক্ষিপ্ত হত্যাকাণ্ড ঘটেই চলেছে। একদিকে আইএস-কের হামলা, অপরদিকে নানা ঘটনায় তালেবান সেনাদের গুলিবর্ষণ অনেক হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে। এ নিয়ে বিশ্ব গণমাধ্যমে প্রতিনিয়ত খবর প্রকাশিত হচ্ছে। তবে তালেবান নেতারা প্রতিটি ঘটনার বিচার করছেন কিনা তা সঠিক খবর জানা যায় না।

হত্যাকাণ্ড ছাড়াও কিছু নির্যাতনের ঘটনাও ঘটছে প্রতিনিয়ত। ১৫ আগস্ট কাবুল দখলের পর থেকে তালেবানের সমালোচনাই চলছে বিশ্বজুড়ে। তবে এর মধ্যে নারী অধিকারের বিষয়ে তালেবানের নতুন ঘোষণা বিশ্ব নেতাদের দৃষ্টি কেড়েছে। কিন্তু এখনও কোনো দেশই তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। উল্টো জাতিসংঘ নতুন সরকারের প্রতিনিধিকেও স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেছে।