হামাস: কোনো দেয়াল ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে না

ইসরায়েল সম্প্রতি এক লোহার দেয়াল নির্মাণের পর ঘোষণা দেয়, ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন-হামাস তাদের আর কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। এর জবাবে হামাস বলছে, কোনো দেয়াল ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে না।

ইসরায়েলের লোহার দেয়াল

জানা গেছে, গাজা উপত্যকা বরাবর ইসরায়েল লোহার এ দেয়াল স্থাপন করেছে। গত সপ্তাহে দেয়াল নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। এরপরই ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দেয়, ফলে এখন থেকে হামাস ইসরায়েলের আর কোনো ধরনের ক্ষতি করতে পারবে না। ইসরায়েলের দাবি, প্রযুক্তিগতভাবে এই দেয়াল খুবই উন্নত এবং হামাসের সুড়ঙ্গ পথ নির্মাণের কার্যক্রম সফলভাবে বাধা দেবে এই দেয়াল।

গাজার সীমানায় রোহার দেয়াল তৈরির বিষয়টি গত ৬ ডিসেম্বর ইসরায়েলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিশ্চিত করেন। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৬৫ কিলোমিটার। এই দেয়ালের ফলে দক্ষিণ ইসরায়েলের মানুষ সুরক্ষিত থাকবে বলে জানান ইসরায়েলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

 হামাসের সুড়ঙ্গ

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য, শুধু মাটির উপর নয়, মাটির নিচেও তৈরি হয়েছে দেয়াল। সঙ্গে লাগানো হয়েছে সেন্সর। দেয়ালের পাশেই আছে কন্ট্রোলরুম। এর ফলে সুড়ঙ্গ ব্যবহার করেও হামাস ইসরায়েলে প্রবেশ করতে পারবে না।

২০০৭ সালে হামাস গাজার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নেওয়ার পর ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের মোট চারবার সরাসরি সংঘর্ষ হয়েছে। শেষবার সংঘাত হয়েছে গত মে মাসে। ২০১৪ সালে ইসরায়েল যখন গাজা উপত্যকায় আগ্রাসন চালায় তখন হামাসের যোদ্ধারা সুড়ঙ্গ পথ ব্যবহার করে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামলা চালিয়েছিল। তেলআবিব দাবি করছে, নতুন এই দেয়ালের কারণে হামাস আর সুড়ঙ্গ খুঁড়তে বা ব্যবহার করতে পারবে না।

এদিকে ইসরায়েলের এ দেয়ালের ফলে এটি নিশ্চিত হয়ে গেল, গাজার ২০ লাখ মানুষ এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত কারাগারের বাসিন্দা। এ বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘ মন্তব্য করেছে, ইসরায়েলি পদক্ষেপের কারণে গাজা বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে এবং সেখানকার জনগণের অবস্থা আরো খারাপ হবে।