ইসহাকজাইয়ের পদত্যাগ, আফগান মিশনের দায়িত্বে ফাইক

জাতিসংঘে আফগান মিশনের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন নাসির আহমেদ ফাইক। জাতিসংঘে আফগানিস্তানের স্থায়ী মিশন এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বর্তমান মানবিক সংকট মোকাবেলার পাশাপাশি সকল আফগানের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে আফগানিস্তানের স্থায়ী মিশন জাতিসংঘের সদস্যদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।

গোলাম মোহাম্মদ ইসহাকজাই ও নাসির আহমেদ ফাইক

জাতিসংঘে ক্ষমতাচ্যুত আফগান সরকারের নিয়োগ দেওয়া গোলাম মোহাম্মদ ইসহাকজাইয়ে পদত্যাগের ঘোষণা আসার পর ফায়েকের এ নিয়োগের খবর আসল। তবে আফগানিস্তানের স্থায়ী মিশন কিভাবে এবং কোন কর্তৃপক্ষের দ্বারা ফাইককে আফগান মিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হিসাবে দায়িত্ব দিয়েছে, তার কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। এর আগে গোলাম ইসহাকজাই গত বুধবার পদত্যাগ করেন। জাতিসংঘের সহকারী মুখপাত্র ফারহান হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর গোলাম ইসহাকজাই জাতিসংঘে আবেদন করেন, আফগানিস্তানের সরকার পাল্টে গেলেও তিনি জাতিসংঘে আফগান রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যেতে চান। অন্যদিকে তালেবান সরকার জাতিসংঘকে এক চিঠির মাধ্যমে জানায়, তাদের মুখপাত্র সুহাইল শাহিনকে ইসহাকজাইয়ের স্থলাভিষিক্ত করে আফগানিস্তানের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেওয়া হোক।

জাতিসংঘ ভবন

নিয়োগ পাওয়ার পর নাসির আহমেদ ফাইক এক টুইটে বলেন, আমি জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর কাছে আমাদের প্রিয় মানুষদের কণ্ঠস্বর পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করব, যারা ক্ষুধা, দারিদ্র্য, শীতের কষ্ট ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাথে লড়াই করছে।

এদিকে তালেবানের সাবেক মুখপাত্র এবং ইসলামি আমিরাতের কাতার-ভিত্তিক রাজনৈতিক কার্যালয়ের সদস্য সুহাইল শাহিন জাতিসংঘের এ পদক্ষেপের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, জাতিসংঘের উচিত নিরপেক্ষতা প্রমাণ দেওয়া এবং আফগানিস্তানের বর্তমান সরকারের কাছে আসনটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, ইসলামি আমিরাত আফগানিস্তান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের শর্ত পূরণ না করলে তারা বর্তমান আফগান সরকারের সাথে জড়িত হবে না। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক বিশ্লেষক তোরেক ফারহাদি বলেছেন, ইসলামি আমিরাতকে জাতিসংঘে আফগানিস্তানের স্থায়ী চেয়ার নিতে হলে আগে স্বীকৃতির শর্ত পূরণ করতে হবে।

জাতিসংঘ এ বছর আফগানিস্তান ও মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত নিয়ে এ ধরনের নতুন পরিস্থিতির মুখোমুখি হল।