ইসরায়েলে খ্রিস্টান কমা-বাড়া নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

ইসরায়েল সরকার জানিয়েছে, দেশটিতে খ্রিস্টান জনসংখ্যা বাড়ছে। কয়েকদিন আগে চার্চ অফ ইংল্যান্ডের সবচেয়ে সিনিয়র পাদ্রী অভিযোগ করেন, খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে দূরে সরিয়ে দেওয়ার জন্য ইসরায়েলে একটি সমন্বিত অপচেষ্টা হচ্ছে। ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো মঙ্গলবার জানিয়েছে, দেশটিতে ১ লাখ ৮২ হাজার খ্রিস্টান ছিল, যা গত বছরের তুলনায় ১.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এএফপি।

‌খ্রিস্টান কমছে মানতে নারাজ ইসরায়েল

ক্যান্টারবেরির আর্চ বিশপ জাস্টিন ওয়েলবি জেরুজালেমে অ্যাংলিকান আর্চ বিশপ হোসাম নাউমের কাছে অভিযোগ করেছেন, পূর্ব জেরুজালেমের খ্রিস্টানদের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমছে। তিনি বলেন, গির্জার নেতারা বিশ্বাস করেন, জেরুজালেমের ওল্ড সিটিতে এখন দুই হাজারেরও কম খ্রিস্টান অবশিষ্ট রয়েছে।

খ্রিস্টানদের অভিযোগ, ইসরায়েলে গির্জায় ধর্মযাজকদের শারীরিক ও মৌখিক অপব্যবহার বেড়েছে। কট্টরপন্থী গোষ্ঠীগুলো পবিত্র স্থান ভাংচুর করছে। তাদের বক্তব্য, এসব করার মাধ্যমে আতঙ্ক ছড়িয়ে ইসরায়েলের খ্রিস্টানদের তাড়ানোর একটি সমন্বিত অপচেষ্টা। খ্রিস্টানদের একটি চিঠি জেরুজালেমের গির্জার নেতাদের কাছে দেওয়া হয় ১৩ ডিসেম্বর। চিঠিতে অভিযোগ করা হয়, খ্রিস্টানদের উপস্থিতি হ্রাস করার লক্ষ্যে র‌্যাডিক্যাল গ্রুপগুলো খ্রিস্টান কোয়ার্টারে কৌশলগত সম্পত্তি দখল করে চলেছে।

এদিকে, ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, খ্রিস্টানদের অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন এবং তাদের অভিযোগ ইসরায়েলের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বাস্তবতাকে বিকৃত করেছে। ইসরায়েলের খ্রিস্টানরা জেরুজালেমসহ সব স্থানে ধর্ম এবং উপাসনার পূর্ণ স্বাধীনতা উপভোগ করে। তারা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ইসরায়েলি সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠছে।

খবরে বলা হচ্ছে, পূর্ব জেরুজালেমের পুরাতন শহরে খ্রিস্টানদের পবিত্র স্থানগুলোর সত্যতা রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে পবিত্র সমাধির চার্চ। ভক্তদের বিশ্বাস, এখানে যীশুকে ক্রুশবিদ্ধ করে কবর দেওয়া হয়েছিল। ওয়েলবি এবং নাউমের অভিযোগ, ফিলিস্তিনি খ্রিস্টানরা জোরপূর্বক বসতি স্থাপনকারী সম্প্রদায় ইহুদিদের জুলুম নির্যাতনে ও চলাচলের বিধিনিষেধের কারণে পশ্চিম তীর ছেড়ে চলে যাচ্ছে।

তবে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, তেলআবিব সকল ধর্মের মানুষের ধর্ম পালন ও উপাসনার স্বাধীনতার পাশাপাশি পবিত্র স্থানগুলোতে প্রবেশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জেরুজালেমের চার্চ নেতাদের বিবৃতিটিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশেই খ্রিস্টান সম্প্রদায় বৈষম্য ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। কিন্তু তারা সেসব বিষয়ে কোনো কথা বলেন না।