মুসলিম কবরস্থানে দাফনে বাধা, অন্যত্র কবরস্থ ২ কাদিয়ানী

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ঘাটুরা গ্রামে ‘আহমদীয়া সম্প্রদায়’ তথা কাদিয়ানীর দুই অনুসারীর মৃত্যু হয়েছে। মুসলিম কবরস্থানে তাদের মরদেহ দাফনে বাধা দিয়েছেন স্থানীয়রা। পরে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অন্যত্র দাফন করা হয় মরদেহ দুটি।

দুই কাদিয়ানীর দাফনে বাধা

কর্মকর্তারা জানান, আহমদীয়া সম্প্রদায়ের অনুসারী দুই ব্যক্তি গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মারা যান। তাদের মধ্যে একজন ৭০ বছরের বৃদ্ধ এবং অপর জন ৪৭ বছরের নারী। যথারীতি এদের মরদেহ স্থানীয় মুসলিম কবরস্থানে দাফনের উদ্যোগ নেয় স্বজনরা।

এতে বাধা দেয়া হলে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে প্রশাসন। এরপর উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে আলাদা কবরস্থানের ব্যবস্থা করা হয় কাদিয়ানীদের জন্য, জানায় পুলিশ।

দুই কাদিয়ানীর দাফনে বাধা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, উভয় পক্ষের লোকজনের সঙ্গ আলোচনা করে আহমদীয়া সম্প্রদায়ের জন্য কান্দিপাড়া এলাকায় পৃথক কবরস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানেই গতকাল মারা যাওয়া দুই জনের মরদেহ দাফন করা হয়।

গত দুই বছর ধরে মুসলিমদের কবরস্থানে গ্রামটির কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের লোকজনের মৃতদেহ দাফনে বাধা দেয়া হচ্ছে- এমনটা জানিয়ে তাদের এক নেতা জানান, সবশেষ এই ঘটনার পরে আহমদীয়াদের জন্য পৃথক কবরস্থান তৈরি করে সমাধান দিয়েছে প্রশাসন।

ব্রিটিশ ভারতের কাদিয়ানে জন্ম নেয়া মির্যা গোলাম আহমদের অনুসারীরা আহমদীয় সম্প্রদায় বা কাদিয়ানী হিসেবে পরিচিত। তারা ইসলাম ধর্মের শেষ নবী মুহাম্মদ (সা.) এর ‘খতমে নবুওত’কে অস্বীকার বলে অভিযোগ রয়েছে। সে কারণে এদের অমুসলিম ঘোষণার দাবি করে আসছে সারা বিশ্বের মুসলিমরা।

বাংলাদেশেও জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলামসহ সকল ইসলামী দল ও সংগঠন আহমদীয়াদের অমুসলিম ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছে। এ জন্য ‘খতমে নবুওত আন্দোলন’ নামে একটি সংগঠনও সক্রিয় রয়েছে।