ইসরায়েলি কমান্ডার: ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ অনিবার্য

ইরানের পারমাণবিক শক্তি অর্জনকে ভয় করে ইসরায়েল। দেশটি মনে করে, এদিক থেকে সবচেয়ে কঠিন অবস্থানে রয়েছে ইহুদিরা। কারণ ইরান পারমাণবিক আলোচনা শিগগির ধাপে ধাপে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছবে। আর তা হলে মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে ইরানের প্রভাব আরও বেশি ছড়িয়ে পড়বে। একইভাবে সিরিয়ায়ও। ইসরায়েলের জন্য সংকটময় মুহূর্ত ঘাড়ের কাছে। শিগগির ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ অনিবার্য।

ইরানের পারমাণবিক শক্তি অর্জনকে ভয় করে ইসরায়েল!

এতে ইরানের পারমাণবিক হুমকি দূর হবে না। বরং ইরানিরা গোপনে পারমাণবিক কর্মসূচি এগিয়ে নেবে। যা তাদেরকে পারমাণবিক ক্ষমতা অর্জনের কাছাকাছি নিয়ে আসবে। এক নিবন্ধে এসব কথা বলেছেন ইসরায়েলি নৌবাহিনীর কমান্ডার (২০০৭-১১) এলিজার ম্যারম। জিউস নিউজ সিন্ডিকেটে নিবন্ধটি প্রকাশ করা হয়েছে।

নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে, ইরানিরা আলোচনার মাস্টার। নিষেধাজ্ঞা অপসারণের বিষয়ে আলোচনার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার চেষ্টা করে তারা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, পারমাণবিক আলোচনায় ইউরোপীয়রা (প্রধানত জার্মানি, ফ্রান্স এবং গ্রেট ব্রিটেন) আরও বেশি জড়িত হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে আমেরিকানরা অন্যান্য বৈশ্বিক শক্তির সাথে আরও সহযোগিতামূলকভাবে কাজ করছে।

সেখানে বলা হয়, তবে শেষ পর্যন্ত উভয় পক্ষ একটি চুক্তিতে পৌঁছবে, যা ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের গতিকে সীমাবদ্ধ করবে। কিন্তু ইরানের দীর্ঘমেয়াদী কৌশলগত স্বার্থ হল পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হওয়া। নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের অর্থনীতি যেহেতু হুমকির মুখে রয়েছে, তাই তারা অবশ্যই নিষেধাজ্ঞার অপসারণ চাইবে।

চীনা এবং রাশিয়ানরা অবশ্য ইরানরে ওপর নিষেধাজ্ঞাগুলো মেনে চলে না। তবে তারা ইরানের সাথে বৈধ ব্যবসায় ফিরতে চাইবে। স্বাভাবিকভাবেই ধরে নেওয়া যায়, শেষ পর্যন্ত সব পক্ষই একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে চাইবে।

ইসরায়েলি নৌবাহিনীর কমান্ডার নিবন্ধে আরো বলেন, ইরানে আক্রমণ করার ক্ষমতা ইসরায়েলের রয়েছে এবং তাদের অন্য কোনো উপায়ও থাকবে না। মনে হচ্ছে সংকটময় মুহূর্ত দ্রুত এগিয়ে আসছে। আমরা আমেরিকান সামরিক হস্তক্ষেপের উপর নির্ভর করতে পারি না। তারা সম্ভবত আসবে না। অতীতে উল্লেখযোগ্য কৌশলগত হুমকির সম্মুখীন হয়েছে ইসরায়েল। তাতে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী বিজয়ী হয়েছে।

নিবন্ধে আরো বলা হয়, ইসরায়েলকে হিজবুল্লাহর হামলা প্রতিহত করার প্রস্তুতি রাখতে হবে। তবে আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। ইসরায়েল দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ইরানের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।

ইসরায়েলি নৌবাহিনীর বলছেন, ইরানের হুমকি মোকাবেলা এবং হিজবুল্লাহকে কঠোরভাবে আঘাত করার ক্ষমতা রাখে প্রতিরক্ষা বাহিনী। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া সামাল দিতে কূটনৈতিক পরিকল্পনাও রাখতে হবে।