ইরানে হামলায় লক্ষ্যবস্তুর তালিকা প্রস্তুত!

ইরান যাতে পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী না হতে পারে, সেজন্য আদাজল খেয়ে নেমেছে ইসরায়েল। এর আগে ইসরায়েলি মন্ত্রীরা নানা সময় হামলার হুমকি দিয়েছে। এবার জানা যাচ্ছে, ইরানে হামলার লক্ষ্যবস্তুর তালিকাও প্রস্তুত করে ফেলেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। আল আসওয়াত নিউজ।

মুখোমুখি অবস্থানে ইরান ও ইসরায়েল

তেল আবিবের সামরিক সূত্রগুলো জানাচ্ছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইরানে লক্ষ্যবস্তুতে হামলার জন্য সরকারকে বেশ কয়েকটি পর্যালোচনা উপস্থাপন করেছে। কিন্তু এ ধরনের হামলার ফলাফল নির্ধারণ করা বা তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে কীভাবে প্রভাবিত করবে তা মূল্যায়ন করা কঠিন হবে বলে পর্যালোচনায় উঠে এসেছে।

২৯ ডিসেম্বর বুধবার ইরায়েলি হারেৎজ পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন অনুসারে, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলছে, তারা ইরানের ওপর সম্ভাব্য আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। উন্নত অস্ত্র-সরঞ্জাম সংগ্রহ ও প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। বিমান বাহিনীও প্রশিক্ষণ মহড়া পরিচালনা করছে এবং সামরিক গোয়েন্দাদের জন্য নতুন স্ট্রাইক টার্গেট সংগ্রহ করছে।

ইরান-ইসরায়েলের পতাকা ও যুদ্ধবিমান

খবরে বলা হচ্ছে, হামলার উদ্দেশ্যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে ৯ বিলিয়ন শেকেল বা ২.৯ বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত বাজেট দেওয়া হয়েছিল। সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, সরকার অনুমোদন দিলেই সেনাবাহিনী ইরানে হামলা চালাতে প্রস্তুত থাকবে।

লেবাননে হিজবুল্লাহ বা গাজা উপত্যকায় হামাসের সাথে এক দফা লড়াইসহ ইরানে আঘাত হানার ফল কী হতে পারে, তার প্রস্তুতিও নিচ্ছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। দেশটির সেনাবাহিনীর এক মূল্যায়নে বলা হচ্ছে, ইরান গত বছর বিমান প্রতিরক্ষা বিন্যাস বাড়িয়েছে ও উন্নত করেছে। এছাড়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও অস্ত্রাগার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে।

ইরানের এই উন্নয়নের কারণে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বিমান প্রতিরক্ষা সম্প্রসারণ ও শক্তিশালী করার জন্য গত বছরে বিলিয়ন শেকেল মূল্যের বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ইসরায়েলের চিফ অফ স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল আভিভ কোচাভি ঘোষণা করেছিলেন, সেনাবাহিনীর ক্ষমতা যথেষ্ট উন্নত হয়েছে।