সম্পর্ক মেরামতে সৌদি যাচ্ছেন এরদোয়ান

বিভিন্ন দেশের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের অংশ হিসেবে সৌদি আরব সফরের ঘোষণা দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান। গতকাল সোমবার এক ঘোষণায় তিনি জানান, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই তিনি উপসাগরীয় দেশটিতে সফরে যাবেন।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান

২০১৮ সালে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এরদোয়ান এই হত্যাকাণ্ডের জন্য শুরু থেকে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে দায়ী করে আসছিলেন। মূলত তার চাপের কারণেই রিয়াদ অপরাধীদের শাস্তি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়।। কিন্তু এর ফলে নিজেদের মধ্যকার কূটনীতিক সম্পর্ক বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আঙ্কারা ও রিয়াদ সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ক্ষতিগ্রস্ত সেসব কূটনৈতিক সম্পর্ক আবারো তাজা করার চেষ্টা করছে।

প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান গত এপ্রিল ও মে মাসে সৌদি বাদশাহ সালমানের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন। পরে এরদোয়ান জানিয়েছিলেন, আঙ্কারা উপসাগরীয় দেশগুলোর সাথে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশা করছে।

এরদোয়ান ও বাদশা সালমান, ফাইল ছবি

এরই অংশ হিসেবে মিসর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথেও তুরস্কের সম্পর্কোন্নয়নের চেষ্টা চলছে। তুরস্ক গত মে মাসে আলোচনার জন্য সৌদি আরবে একটি প্রতিনিধি দল পাঠায় এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসোগলু রিয়াদে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহানের সাথে সাক্ষাত করেন।

দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হলেও সৌদি কখনোই প্রকাশ্যে তুরস্ক থেকে পণ্য বয়কটের ঘোষণা দেয়নি। তবে গত বছর সৌদি ব্যবসায়ী এবং খুচরা বিক্রেতারা দুই আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে রাজনৈতিক এই উত্তেজনার মধ্যে এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছিল। এই অনানুষ্ঠানিক অবরোধ এড়াতে সম্প্রতি কিছু তুর্কি রপ্তানিকারক আবারো সৌদি আরবে খাদ্য, পোশাক ও অন্যান্য পণ্য পাঠাতে শুরু করেছে।