আপনি পড়ছেন

চীনের উইঘুর মুসলিম জাতিগোষ্ঠীর ১৯ ব্যক্তি তুর্কি প্রসিকিউটরের কাছে চীনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করেছেন। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

uighur muslims 2উইঘুর মুসলমান

অভিযোগটি ১১৬ জনের সাথে সম্পর্কিত, যারা এখনও চীনে আটক রয়েছেন। মামলায় চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য, শ্রম শিবিরের পরিচালক এবং কর্মকর্তাসহ ১১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। আল জাজিরা।

আইনজীবী গুলডেন সোনমেজ মঙ্গলবার বলেন, মামলাটি প্রয়োজনীয়। কারণ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো চীনা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। অথচ চীনা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ২০১৬ সাল থেকে প্রায় এক মিলিয়ন উইঘুর ও অন্যান্য মুসলিম সংখ্যালঘুকে আটক করে জোরপূর্বক শ্রমের অভিযোগ রয়েছে।

চীন প্রাথমিকভাবে নির্যাতন শিবিরের অস্তিত্ব অস্বীকার করেছিল। কিন্তু তারপর তারা স্বীকার করেছে, চরমপন্থা মোকাবেলার জন্য বৃত্তিমূলক কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। তবে অপব্যবহারের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে দেশটি।

মধ্য এশিয়ার বাইরে প্রায় ৫০ হাজার উইঘুর তুরস্কে বসবাস করে আসছে, যা সবচেয়ে বেশি বলে মনে করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার ইস্তাম্বুলের চিফ প্রসিকিউটর অফিসে অভিযোগটি দায়ের করা হয়। তুরস্কে চীনের দূতাবাস এবং প্রসিকিউটর অফিস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

আইনজীবী সোনমেজ আদালতের বাইরে বলেন, আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের উচিত ছিল ইতোমধ্যেই এর বিচার শুরু করা। তবে চীন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য বিধায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে হয় না।

ওই আইনজীবীর চারপাশে ৫০ জনেরও বেশি উইঘুর ব্যক্তি তাদের নিখোঁজ পরিবারের সদস্যদের ছবি সঙ্গে নিয়ে এবং চীনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিচারের আহ্বান জানাচ্ছিলেন। কেউ কেউ পূর্ব তুর্কিস্তানের স্বাধীনতা আন্দোলনের নীল-সাদা পতাকা নেড়েছে।

সোনমেজ বলছেন, তুর্কি আইন সর্বজনীন এখতিয়ারকে স্বীকৃতি দেয়। তুরস্কের আদালতে নির্যাতন, গণহত্যা, ধর্ষণ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচার করা যেতে পারে। ফৌজদারি অভিযোগ দায়েরকারীদের মধ্যে একজনের নাম মেদিনী নাজিমি।

তিনি বলেন, ২০১৭ সালে তার বোনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং তারপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। আমার বোন এবং আমি তুর্কি নাগরিক। আমি চাই, সরকার আমার বোনকে উদ্ধার করুক।

দুই দেশ প্রত্যর্পণ চুক্তিতে সম্মত হওয়ার পর তুরস্কে বসবাসরত কিছু উইঘুর চীনের প্রতি আঙ্কারার গ্রহণ করা পদ্ধতির সমালোচনা করেছেন। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত বছরের মার্চ মাসে বলেছিলেন, এটি উইঘুরদের চীনে ফেরত পাঠানোর দিকে পরিচালিত করবে না।

প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোগান গত জুলাই মাসে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে বলেছিলেন, উইঘুর মুসলমানরা চীনের নাগরিক হিসাবে তুরস্কে শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। তবে তুরস্ক চীনের জাতীয় সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে।

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ এবং অধিকার গোষ্ঠীর মতে, ১০ লাখেরও বেশি উইঘুর এবং অন্যান্য মুসলিমকে জিনজিয়াংয়ের নির্যাতন শিবিরে আটকে রাখা হয়েছে।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.