ইরান: ইরাকেও অপমানিত হবে মার্কিন সেনারা

আফগানিস্তান থেকে যেভাবে মার্কিন সেনারা চলে গেছে, অচিরেই ইরাক থেকে তাদের সমস্ত সেনাকে একইভাবে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে। নইলে আফগানিস্তানের চেয়ে খারাপ পরিণতি তাদের জন্য অপেক্ষা করছে। ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসির কুদস ফোর্সের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইসমাইল কানি এ কথা বলেছেন।

ইরাকে মার্কিন সেনারা

ইরানের উত্তরাঞ্চলীয় পবিত্র মাশহাদ শহরে কুদস ফোর্সের সাবেক কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সোলাইমানির শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণসভায় ইসমাইল কানি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আফগানিস্তান থেকে যেভাবে মার্কিন সেনারা চলে যেতে বাধ্য হয়েছে তার চেয়েও বেশি অপমানজনকভাবে ইরাক থেকে তাদের বিদায় নিতে হবে।

জেনারেল কানি বলেন, এরই মধ্যে মার্কিন সেনারা নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। অন্যদিকে, তাদের বিরুদ্ধে ইরাকের বিভিন্ন সশস্ত্র সংগঠন প্রতিদিন এগিয়ে যাচ্ছে।

কাসেম সোলাইমানি ও আবু মাহদি আল-মুহান্দিস, ফাইল ছবি

এরই মধ্যে বিরাট সংখ্যক মার্কিন সেনা মধ্যপ্রাচ্য ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকবে প্রত্যাশা করে ইসমাইল কানি বলেন, যদি তারা ইরাক থেকে চলে যেতে না চায় তাহলে ইরাকের ভেতর থেকে তাদের জন্য দুঃখজনক অবস্থা তৈরি করা হবে এবং আফগানিস্তানের চেয়েও অপমানজনকভাবে তাদেরকে ইরাক ছাড়তে হবে।

জানা গেছে, ইরাকে বর্তমানে আড়াই হাজার মার্কিন এবং ১ হাজার ন্যাটো সেনা রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সেনা প্রত্যাহারের অংশ হিসেবে মার্কিন সরকার ইরাকে তাদের সশস্ত্র মিশন শেষ করার ঘোষণা দিয়েছে। এ হিসেবে মার্কিন সশস্ত্র যোদ্ধারা ইরাক থেকে চলে যাবে। তবে কিছু সেনা ইরাকি বাহিনীকে প্রশিক্ষণের জন্য সামরিক উপদেষ্টা হিসেবে মোতায়েন থাকবে। কিন্তু ইরাক সরকার ও এ অঞ্চলের প্রতিরোধকামী সংগঠনগুলো দাবি করছে, ইরাক থেকে সমস্ত মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হোক।

২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে মার্কিন সন্ত্রাসী বাহিনী ড্রোন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ইরানের শীর্ষস্থানীয় জেনারেল কাসেম সোলাইমানি এবং ইরাকের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিটের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আবু মাহদি আল-মুহান্দিসকে হত্যা করে।