রাশিয়াকে ঠেকাতে যুদ্ধবিমান-জাহাজ মোতায়েন ন্যাটোর

রাশিয়ার ৬টি যুদ্ধজাহাজ ভূমধ্যসাগর থেকে কিয়েভের দিকে আসছে, প্রস্তুত রাখা হয়েছে সেনাবাহিনীও। দেশটি যেকোনো সময় ইউক্রেনে আক্রমণ চালাতে পারে বলে শঙ্কা যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর। সে জন্য পূর্ব ইউরোপে সেনাবহর, যুদ্ধজাহাজ ও বোমারু বিমান পাঠিয়েছে বিশ্বের বৃহৎ এই সামরিক জোটটি।

ন্যাটো জোটের বহর, ফাইল ছবি

আজ সোমবার নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অ্যালায়েন্স বা ন্যাটোর মহাপরিচালক জিনস স্টলটেনবার্গ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান। সংস্থায় যেসব দেশ সেনা ও যুদ্ধযান পাঠিয়েছে, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, মিত্র দেশগুলোকে রক্ষায় এভাবেই প্রয়োজনীয় পদক্ষপ নেবে ন্যাটো।

রাশিয়ার প্রতিবেশী ইউক্রেন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল। দেশটি সম্প্রতি ন্যাটোর সদস্য হতে আবেদন করায় মস্কোর সঙ্গে উত্তেজনা দেখা দেয়। ইউক্রেন সীমান্তে লাখো সেনা মোতায়েনের পর দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধাবস্থা তৈরি হয়েছে।

রাশিয়ার বহর, ফাইল ছবি

এমতাবস্থায় সোমবার ইউক্রেন থেকে নিজেদের নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। প্রথমে দূতাবাস কর্মীদের পরিবার-পরিজনকে কিয়েভ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশ দুটি। এ ছাড়া কিয়েভে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

তবে ইউক্রেনে সামরিক হামলার পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করে আসা রাশিয়া বলছে, ইউক্রেনে উস্কানি দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। এতে নিজেদের নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হওয়ায় তা মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে তারা। তাদের সীমানা থেকে পশ্চিমারা দূরে না সরলে কঠিন পরিস্থিতির হুমকিও এসেছে।

এর আগে ইউক্রেনের অংশ ক্রিমিয়ার রুশপন্থী প্রেসিডেন্টকে উৎখাত করা হলে ২০১৪ সালে অঞ্চলটি দখল করে নেয় রাশিয়া। দেশটি একইভাবে চলতি বছরে ইউক্রেনে আগ্রাসন বা অনুপ্রবেশ করতে পারে বলে শঙ্কা মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার।