তাইওয়ানের আকাশে ৩৯ চীনা যুদ্ধবিমান

আবারও তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে ৩৯টি যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে চীন। রোববার পাঠানো এই যুদ্ধবহর ছিল এ যাবৎকালে দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমান বহর। এর আগে ২০২১ সালের শেষ দিকে চীনের ৫৬টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশে উড়ানো হয়। ডিফেন্স টক।

তাইওয়ানের আকাশে ফের চীনা যুদ্ধবিমানের হানা

তাইওয়ান চীনের বিমান হামলার ক্রমাগত হুমকির মধ্যে রয়েছে। দ্বীপরাষ্ট্রটি স্ব-শাসিত ও গণতান্ত্রিক। চীন অঞ্চলটিকে তাদের ভূখণ্ডের অংশ মনে করে। অভিযোগ রয়েছে, বার বার তাইওয়ানে বল প্রয়োগ করে আসছে দেশটি।

২০২১ সালের শেষ প্রান্তিকে তাইওয়ানের এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোনে (এডিআইজে) চীন থেকে অনুপ্রবেশের একটি বিশাল যুদ্ধবিমানের বহর দেখা গেছে। ৪ অক্টোবর ৫৬টি চীনা যুদ্ধবিমান এই অঞ্চলে প্রবেশ করেছিল। এটিই ছিল সবচেয়ে বড় বিমান বহর।

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল রোববার জানিয়েছে, চীন থেকে ৩৯টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে প্রবেশ করেছে। সতর্কতা হিসেবে তাইওয়ানও নিজস্ব বিমান মহড়া দিয়েছে এবং তার জোনে প্রবেশকারী জেটগুলোকে ট্র্যাক করতে বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে।

যুদ্ধবিমানগুলির মধ্যে ছিল ২৪টি জে-১৬ ফাইটার বিমান, যা বিশেষজ্ঞদের মতে তাইওয়ানের বিমান প্রতিরক্ষায় হস্তক্ষেপ করতে চীন এ জেটগুলোই পছন্দ করে। এছাড়া বহরে ছিল ১০টি জে-১০ ফাইটার এবং একটি পারমাণবিক অস্ত্রবহনে সক্ষম এইচ-৬ বোমারু বিমান৷

কেন চীন হঠাৎ করে একদিনে এতবড় শোডাউন দিল স্পষ্ট নয়। কিন্তু ফিলিপাইন সাগরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের নৌ-মহড়া চালানোর পরই এ ঘটনা ঘটল। তাইওয়ানের ঠিক পূর্বের জলসীমায় রয়েছে ফিলিপাইন সাগর।

জাপানের মেরিটাইম সেলফ-ডিফেন্স ফোর্স সোমবার টুইট করেছে, কার্যকর প্রতিরোধ এবং প্রতিক্রিয়ার জন্য ১৭-২২ জানুয়ারি পর্যন্ত বিমানবাহী বাহক ইউএসএস কার্ল ভিনসন এবং ইউএসএস আব্রাহাম লিঙ্কনসহ দশটি মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ জাপানের সাথে অনুশীলনে অংশ নেয়। তাইওয়ান ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে নিয়মিতভাবে চীনের বিমান অনুপ্রবেশের তথ্য প্রকাশ করা শুরু করে।

২০২১ সালের অক্টোবর মাস তাইওয়ানের রেকর্ডে সবচেয়ে ব্যস্ততম মাস ছিল। কারণ এ মাসে চীন ১৯৬টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশে অনুপ্রবেশ ঘটনায়। যার মধ্যে ১৪৯টি বিমান উড়ানো হয়েছিল চীনের বার্ষিক জাতীয় দিবস উদযাপনের মহড়া হিসেবে।

প্রতিরক্ষা অঞ্চলটি তাইওয়ানের আঞ্চলিক আকাশসীমার মতো নয়। তবে চীনের নিজস্ব অংশের সাথে মিলে এলাকাটি অনেক বড়। ২০১৬ সালে সাই ইং-ওয়েন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বেইজিং দেশটির উপর চাপ বাড়িয়েছে। কারণ ওয়েন তাইওয়ানকে একটি সার্বভৌম দেশ হিসাবে বিবেচনা করেন, যা এক চীন নীতির বিরপীত।