ইহুদি সাংবাদিকের শর্ত: হামাস নেতাদের নির্বাসনে পাঠাতে হবে

তুরস্ক যদি ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে চায়, তাহলে ইস্তাম্বুলে থাকা ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন-হামাসের সমস্ত অফিস বন্ধ করতে হবে। এছাড়া হামাসের যেসব নেতা তুরস্কে অবস্থান করছেন, তাদের নির্বাসনে পাঠাতে হবে। তুরস্কের ব্যাপারে ইসরায়েলি সরকারের প্রতি এসব পরামর্শ দেন একজন ইহুদি সাংবাদিক। খবর মিডলইস্টমনিটর।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ও ইসরায়েল হায়েমো পত্রিকার কলামিস্ট নাদাভ শ্রগাই

ইসরায়েল হায়েমো পত্রিকার কলামিস্ট নাদাভ শ্রগাই বলেছেন, জেরুজালেমের সাথে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের কথা বিবেচনা করার আগে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ানকে প্রথমে তুরস্কে থাকা হামাসের সমস্ত অফিস বন্ধ করতে হবে। সেই সাথে হুসাম বদরান, মুসা আল-আকারি, জাহের জাবারিন, জিহাদ ইয়াঘমুরের মতো হামাস নেতাদের নির্বাসনে পাঠাতে হবে। কারণ এদের অনেকেরই হাত কোনো না কোনো সময় ইহুদীদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে।

২০১৬ সালের পুনর্মিলন চুক্তির ব্যাপারে শ্রগাই বলেছেন, ওই চুক্তিটি আমাদের জন্য ভালোভাবে শেষ হয়নি, তাই ইসরায়েলি সরকারকে অবশ্যই সতর্কতার সাথে এগিয়ে যেতে হবে। এ সময় তিনি উল্লেখ করেন, তুরস্কের অর্থনীতি এখন কঠিন সময় পার করছে। এ সমস্যা সমাধানে এরদোয়ানের মিত্রদের সহায়তা তার ব্যাপকভাবে প্রয়োজন।

হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার সঙ্গে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান

ইসরায়েল হায়েমো পত্রিকার কলামিস্ট শ্রগাই বলেন, ২০১৬-এর চুক্তি অনুযায়ী এরদোয়ান বলেছিলেন, তুরস্কের মাটিতে ইসরায়েলবিরোধী সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিচালনা করা যাবে না।

শ্রগাই দাবি করেন, ২০১০ সাল থেকে, যখন ইসরায়েল তুর্কি মাভি মারমারা জাহাজে আক্রমণ করেছিল এবং নয়জন তুর্কি নাগরিককে হত্যা করেছিল, সে সময় তুরস্ক থেকে হামাস সদস্যরা শত শত হামলার পরিকল্পনা করেছিল। তারা ফিলিস্তিনে কয়েকবার অভ্যুত্থান চালানোর চেষ্টা করেছিলেন। এ লক্ষ্যে তারা তুরস্কে বিভিন্ন ধরনের সামরিক প্রশিক্ষণও নিয়েছিল।

এ অবস্থায় নতুন করে আর কোনো চুক্তিতে যেতে রাজি নন শ্রগাই। তার মন্তব্য হচ্ছে, আর কোনো তুর্কি প্রতিশ্রুতিকে বিশ্বাস করা যায় না। ফলে ইসরায়েলকে এরদোগানের সম্পর্কে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে এগিয়ে যেতে হবে।