আপনি পড়ছেন

যুদ্ধপীড়িত পূর্ব ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী নিয়ন্ত্রিত দুই ‘প্রজাতন্ত্র’কে স্বাধীন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে নির্দেশ জারি করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। এই স্বীকৃতির বিষয়টিকে রীতিমতো উদযাপন করছেন পুতিন সমর্থকরা। যার মধ্যে রয়েছে রাশিয়ার সরকারপন্থী গণমাধ্যম ও ক্ষমতার সুবিধাভোগী রাজনীতিকরা। কিন্তু নিজেদের রাষ্ট্রপ্রধানের এ সিদ্ধান্তে মোটেও খুশি নন বিরোধী দল ও রুশ সাধারণ নাগরিকরা। প্রকাশ্যে না হলেও বিভিন্নভাবে তারা সেই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

putin denial ukrainian statehood dark historical echoesপুতিনের সিদ্ধান্তে নাখোশ বহু রুশ!

ইউক্রেন নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা উত্তেজনার মধ্যে পূর্ব-ইউক্রেনের ডোনেস্ক পিপলস রিপাবলিক বা ডিপিআর এবং লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক বা এলপিআর-কে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়ে একটি ডিক্রি সই করেন পুতিন। এরপরই এই ডিক্রির প্রশংসায় নেমে পড়েন সরকারপন্থী গণমাধ্যম ও ভাষ্যকাররা।

কিন্তু গুটিকয়েক সরকারপন্থী গণমাধ্যম ও ক্ষমতার সুবিধাভোগীদের কথা বাদ দিলে একেবারেই ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে দেশটিতে। পুতিনের ওই সিদ্ধান্তের পর মঙ্গলবার রাশিয়ার বহু মানুষের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে আল জাজিরা। তাদের বেশিরভাগই সামনের দিনগুলোর ব্যাপারে একটা অনিশ্চয়তা ও অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন। রাষ্ট্রবান্ধব সংবাদমাধ্যমগুলো নাগরিকদের জোর দিয়েই বলছে যে, পুতিনের সিদ্ধান্তে কোনো যুদ্ধ লেগে যাচ্ছে না। কিন্তু সে কথায় খুব কমই আশ্বস্ত হতে পারছেন রুশ জনগণ।

সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে ৮০ বছর বয়সী লুডমিলা বাসোক বলছিলেন, যা ঘটছে সেটা আসলে একটা ট্র্যাজেডি। এটা আমাদের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ দুটি জনগণের মধ্যে একটা গভীর ফাটল তৈরি করছে। একই এলাকার ৪১ বছর বয়সী ব্যবসায়ী আরটেম বলেন, এই পরিস্থিতি ভয়ানক। ওই লোকগুলোর জন্য আমার কষ্ট লাগছে, যারা পুতিনের নীতি ও তার সাম্রাজ্যবাদী উচ্চাকাঙ্ক্ষার বলি হচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার উচিত এখনই দোনবাস থেকে বেরিয়ে আসা এবং ইউক্রেনকে তার নিজের মতো থাকতে দেওয়া।

মস্কো থেকে রাশিয়ার উদারপন্থী রাজনৈতিক দল ইয়াবলোকোর আঞ্চলিক কাউন্সিলর সদস্য আলেক্সি ক্রাপুখিন বলছিলেন, ডোনেস্ক ও লুহানস্ককে স্বীকৃতি নিয়ে পুতিনের সিদ্ধান্ত রাশিয়াকে সামাজিক, আর্থিক ও রাজনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলবে। পুতিনের ওই ঘোষণার পরপরই ইউরোর বিপরীতে রুশ মুদ্রা রুবলের দাম কমে যাওয়ার বিষয়টিতেও ইঙ্গিত করেন আলেক্সি।

অর্ধেক রাশিয়ান ইউক্রেনে সামরিক শক্তি প্রয়োগের পক্ষে: রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাবে কি না- পুরো বিশ্ব যখন এমন চিন্তায় মগ্ন তখন সিএনএনের একটি জরিপ বলছে, অর্ধেক রুশ নাগরিকই ইউক্রেনে সামরিক শক্তি প্রয়োগের পক্ষে। অর্থাৎ অর্ধেক বা ৫০ শতাংশ রুশ নাগরিকই মনে করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোভুক্ত হওয়া থেকে বিরত রাখতে দেশটির বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি প্রয়োগ রাশিয়ার জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত হবে। আর মাত্র এক-চতুর্থাংশ বা ২৫ শতাংশ বলছেন, এটা রাশিয়ার ভুল সিদ্ধান্ত হবে। অবশিষ্ট ২৫ ভাগ মানুষ বলছেন, এ ব্যাপারে তারা ‘নিশ্চিত’ নন।

সিএনএনের জরিপটি বুধবার প্রকাশিত হয়েছে। অনলাইন জরিপে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন রাখা হয় এবং ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ টিক দিয়ে এসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়।

জরিপের রিপোর্ট মতে, সিংহভাগ উত্তরদাতা ‘রাশিয়া ও ইউক্রেনকে একীভূত করতে’ সামরিক শক্তি ব্যবহারকে ভুল সিদ্ধান্ত বলে মত দিয়েছেন। ৪৩ শতাংশ রুশ জানিয়েছেন, তারা ইউক্রেনকে জোরপূর্বক রাশিয়ার সঙ্গে একীভূত করার বিপক্ষে। বিপরীতে পক্ষে মত দিয়েছেন ৩৬ শতাংশ উত্তরদাতা।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.