আপনি পড়ছেন

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনে এখন রীতিমতো ভয়ে জড়োসড়ো প্রতিবেশী বাল্টিক দেশগুলো। ইউরোপের এই অংশের অধিবাসীদের আশঙ্কা, এরপর কি আমরা রাশিয়ার আগ্রাসনের শিকার হতে যাচ্ছি। এদিকে ইউক্রেনে রুশ অভিযান নিয়ে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে ল্যাটিন আমেরিকা। একপক্ষ মস্কোর এমন কাণ্ডে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের কঠোর সমালোচনা করছে। আরেকপক্ষ সরাসরি সমর্থন করছে। এপি, এএফপি।

baltic countriesবাল্টিক দেশগুলোর মানচিত্র

বাল্টিক দেশ বলতে উত্তর ইউরোপে বাল্টিক সাগরের তীরে অবস্থিত রাষ্ট্রসমূহকে বুঝায়। এই অঞ্চলে ইস্তোনিয়া, লাটভিয়া ও লিথুয়ানিয়া- এই তিনটি দেশ রয়েছে। রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান সংকটের আঁচ এই দেশগুলোতেও পড়তে শুরু করেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এপি বলছে, রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণে ভয়ে কাঁপছে বাল্টিকরা।

এস্তোনিয়া, লাটভিয়া ও লিথুয়ানিয়ার অধিবাসীরা বিশেষ করে সেসব নাগরিক যারা সাবেক সোভিয়েত শাসন দেখেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান নির্বিচার হামলায় ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন। কারণ ইউক্রেন আগ্রাসন সোভিয়েত যুগের জোরপূর্বক নির্বাসন ও ব্যাপক নির্যাতন-নিপীড়নের স্মৃতি ফিরিয়ে আনছে। ইউক্রেন হামলার দিনই এক সাক্ষাৎকারে যেমনটা বলছিলেন জোনিয়াস কালোসকাস।

latin americaল্যাটিন আমেরিকার মানচিত্র

লিথুনিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসের ৫০ বছর বয়সী এই শিক্ষকের কথায়, ‘আমার দাদা-দাদিকে সাইবেরিয়ায় নির্বাসন দেওয়া হয়েছিল। বাবাকে হত্যা করেছিল কেজিবি (রুশ গোয়েন্দা সংস্থা)। আজ আমি এক গণতান্ত্রিক দেশে স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করছি। কিন্তু কোনো কিছুই নিশ্চিত ও নিরাপদ ঠেকছে না।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনে বাল্টিক দেশগুলোজুড়ে একটা ‘শকওয়েভ’ তৈরি করেছে। লিথুনিয়ায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। রুশ টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে লাটভিয়া। এস্তোনিয়াতেও চলছে সতর্কতামূলক প্রস্তুতি।

এদিকে ইউক্রেনে রাশিয়াকে ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রকে সেরকম কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা না গেলেও এস্তোনিয়া, লিথুয়ানিয়া ও রোমানিয়াতে অতিরিক্ত সেনা ও এফ-৩৫এস যুদ্ধবিমান পাঠাচ্ছে। সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে ফ্রান্সও। তবে ইউক্রেন সংঘাত বাল্টিক দেশগুলোকে তেমন স্পর্শ করবে না বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। রুশ হামলার শিকার ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য নয়। তবে বাল্টিক তিনটি দেশই ন্যাটোর সদস্য।

এদিকে শুক্রবার এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ব্যাপারে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলো। বেশিরভাগ দেশই ইতোমধ্যে প্রেসিডেন্ট পুতিনের এই পদক্ষেপের নিন্দা জানাচ্ছে। হাতেগোনা কয়েকটি দেশ বলছে, ন্যাটোর জবরদখল মনোভাবের বিরুদ্ধে ‘নিজেদের নিরাপত্তা রক্ষার অধিকার’ মস্কোর রয়েছে।

ল্যাটিন আমেরিকায় পুতিনের সমালোচনা করা দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের দুই অস্থায়ী সদস্য মেক্সিকো ও ব্রাজিল। এ ছাড়া রয়েছে আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া ও চিলি। বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর পরপরই এর নিন্দা জানায় দেশগুলো।

মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্সেলো এবরাইড বলেন, মেক্সিকো স্পষ্টভাবেই ইউক্রেনের মতো একটি স্বাধীন দেশে যেকোনো শক্তি প্রয়োগের বিরুদ্ধে। ইউক্রেনে ‘অনতিবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ’ করার আহ্বান জানান ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। অতি শিগগিরই ‘সামরিক পদক্ষেপ’র অবসানের দাবি জানায় আর্জেন্টিনা। কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভান ডিউক এক টুইটার বার্তায় বলেন, ইউক্রেনের জনগণের বিরুদ্ধে পূর্ব পরিকল্পিত ও অন্যায় আক্রমণ চালাচ্ছে রাশিয়া।

তবে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে ল্যাটিন আমেরিকায় রাশিয়ার দীর্ঘ সময়ের মিত্র নিকারাগুয়া, ভেনিজুয়েলা ও কিউবা। নিজেকে রক্ষার অধিকার রাশিয়ার’ রয়েছে বলে সমর্থন জানিয়েছেন কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল ডিয়াজ ক্যানেল।

এ দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী ও মার্কিন নিষেধাজ্ঞার টার্গেট। ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া সেনা সমাবেশের সমর্থন জানিয়ে গত বুধবারই একটি টুইট করেন ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা বলেন, ঠিক কাজই করেছেন পুতিন।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.