ইউক্রেন নিয়ে উদ্বিগ্ন নন রিপাবলিকানরা

কনজারভেটিভ পলিটিক্যাল অ্যাকশন কনফারেন্স (সিপিএসি) সাধারণত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকান পার্টির মধ্যে তৃণমূল কর্মীদের মেজাজ কোন দিকে যাচ্ছে, তা পরিমাপ করার একটি ভালো উৎস। গতকাল রোববার রাতে ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোতে শেষ হল চার দিনের এই কনফারেন্স।

ডোনাল্ড ট্রাম্প

কনফারেন্সটিতে আগামী নভেম্বরে কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়েই বেশি আগ্রহ দেখা গেছে। সেই তুলনায় রাশিয়ার হামলা কিংবা ইউক্রেনের দুঃখে তাদের আগ্রহ দেখা যায়নি। বিবিসি।

ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস, টেক্সাসের সিনেটর টেড ক্রুজ এবং ফ্লোরিডার সিনেটর রিক স্কটের মতো শীর্ষ রিপাবলিকানরা তাদের বক্তৃতায় ইউক্রেন সমস্যার কথা একবারও উল্লেখ করেননি। ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি গত শনিবার রাতে মঞ্চে উঠেছিলেন, তিনি রাশিয়ার আক্রমণের দ্রুত নিন্দা করেছেন। কিন্তু নিজেকে কীভাবে আরও বেশি কার্যকর করা যায়, সে বিষয়ে সিংহভাগ সময় কথা বলেন।

ভলোদিমির জেলেনস্কি

গত সপ্তাহের এক বিবৃতিতে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ‘জিনিয়াস’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ন্যাটোভুক্ত দেশ এবং বর্তমান মার্কিন নেতৃত্ব ‘বোবা’ হয়ে গেছে।

বাড়ল জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা: যুদ্ধের মধ্যেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। এখন ৯০ ভাগ মানুষ ভলোদিমির জেলেনস্কিকে সমর্থন দিচ্ছেন। সোসিওলজিকাল গ্রুপ দ্বারা পরিচালিত জরিপ অনুসারে, ৯১ শতাংশ মানুষ তাকে সমর্থন করছেন। ৬ শতাংশ তাকে সমর্থন করেন না এবং ৩ শতাংশ ছিলেন সিদ্ধান্তহীন।

এই জরিপ প্রস্তুত করতে ইউক্রেনজুড়ে ২ হাজার নাগরিককে প্রশ্ন করা হয়েছিল। এতে অবশ্য ক্রিমিয়া এবং পূর্ব ইউক্রেনের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের বাসিন্দাদের বাদ দেওয়া হয়। ইউক্রেন রাশিয়ান আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম হওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে ৭০ শতাংশ বলেছেন, তারা বিশ্বাস করেন, এটি সম্ভব।

জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, আক্রমণ শুরুর ঠিক আগে থেকেই ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর সমর্থনও যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে।