যত সব ‘পুতিনের লোক’
- Details
- by আন্তর্জাতিক ডেস্ক
রাশিয়ার সঙ্গে পাশ্চাত্যের দেশগুলোর সম্পর্কে টানাপোড়েন এলে প্রায়শ রুশ ধনকুবেররা সংবাদ শিরোনাম হন। তাদের সম্পদ জব্দ ও বাজেয়াপ্ত করা হয়। তাদের সঙ্গে ব্যবসা ও লেনদেন নিষিদ্ধ করা হয়। প্রশ্ন হচ্ছে- দিনের পর দিন যারা পুতিনের উপর পশ্চিমা বিশ্বের ক্ষোভ ও অসন্তোষের জের টানছেন, তারা আসলে কারা? ব্রিটিশ ফুটবল ক্লাব চেলসির মালিক রোমান আব্রামোভিচ, আর্সেনাল ও এভার্টনের শেয়ারহোল্ডার আলিশার উসমানভ, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এলুমিনিয়াম কোম্পানি রুসাল এর সাবেক প্রধান ওলেগ দেরিপাস্কার মতো কয়েকজনের নাম হয়তো অনেকেরই জানা। কিন্তু রুশ ধনকুবেরদের তালিকা এখানেই শেষ নয়।
পুতিনের লোক
গুপ্তচরবৃত্তি ও নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার কুটনৈতিক সংকটের সময় রুশ ধনকুবেরদের সম্পদ জব্দ হয়েছিল। যুদ্ধজাহাজ ও সমুদ্রসীমায় অনুপ্রবেশ নিয়ে মস্কো-লন্ডন টানাপোড়েনের সময়ও তাদের সমালোচনায় মুখর হয়েছিল ব্রিটিশ গণমাধ্যম। একই ঘটনা ঘটছে ইউক্রেন ইস্যুকে ঘিরে।
বলা হয়ে থাকে- রুশ ধনকুবেররা দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ট এবং তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলেই পুতিনের উপর কার্যকর চাপ প্রয়োগ হবে। এই ধনকুবেরদের সম্পদ খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নিতে টাস্কফোর্স ক্লেপটোক্যাপচার নামে নতুন সংস্থা গঠন করেছে মার্কিন বিচার বিভাগ। একইরকম টাস্কফোর্স গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রুস।
এদিকে ব্রিটেনের সাবেক মন্ত্রী ডেভিড ডেভিস পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন যাতে আনুষ্ঠানিক নিষেধাজ্ঞা ও যাচাই-বাছাইয়ের আগেই সন্দেহভাজন রুশ ধনকুবেরদের সম্পদ জব্দের বিধান রাখা হয়েছে।
ডেভিসের প্রস্তাব নিয়ে সোমবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বিতর্ক হয়। আইনটি পাশ হলে ব্রিটেনে শত শত কোটি পাউন্ডের সম্পদ হারাতে পারেন রুশ ধনকুবেররা। তার আগে এ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ব্রিটেনে কালো তালিকাভূক্ত হওয়া রুশদের নামগুলো দেখা যাক-
১. ভ্লাদিমির বোগদানভ- রুশ তেল কোম্পানি সুরগুতনেফতগ্যাস’র মহাপরিচালক ও পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান ভ্লাদিমির ২০১৮ সাল থেকে ব্রিটেনে কালো তালিকাভূক্ত। এবার যুক্তরাষ্ট্রও তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
২. ওলেগ দেরিপাস্কা- রাশিয়ার বৃহত্তম শিল্প গ্রুপ বেসিক ইলেমেন্ট’র প্রতিষ্ঠাতা ওলেগ দেরিপাস্কা ২০১৮ সাল থেকে মার্কিন কালো তালিকাভূক্ত। ওই তালিকাভূক্তির বিরুদ্ধে মামলা লড়ছেন তিনি। এবার নতুন করে আরও কিছু নিষেধাজ্ঞার আওতায় এলেন। রাশিয়ার জ্বালানি কোম্পানি ইএন প্লাস গ্রুপের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি।
৩. সের্গেই চেমেজভ- প্রতিরক্ষা খাতে রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ব কোম্পানি রসটেক’র সিইও হিসেবে ২০০৭ সাল থেকে কর্মরত রয়েছেন সের্গেই। আশির দশকে তিনি সোভিয়েত গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবি’র এজেন্ট হিসেবে পূর্ব জার্মানিতে দায়িত্বপালন করেন। একই সময় সেখানে কর্মরত ছিলেন ভ্লাদিমির পুতিন। তখন থেকেই দুজনের বন্ধুত্ব ও ঘনিষ্টতা।
৪. সের্গেই ইভানভ- রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ব ডায়ামন্ড মাইনিং কোম্পানি আলরোসা’র সিইও সের্গেই ইভানভ একইসঙ্গে গ্যাজপ্রমব্যাংকের পর্ষদ সদস্য। তার বাবা সের্গেই বরিসোভিচ ইভানভ পুতিনের ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত এবং একসময় ক্রেমলিনের চিফ অব স্টাফ ছিলেন।
৫. সুলেইমান করিমভ- অর্থনীতিতে উচ্চতর ডিগ্রিধারী বিলিওনেয়ার সুলেইমান রুশ সিনেটে দাগেস্তানের প্রতিনিধিত্ব করছেন। রাশিয়ায় স্বর্ণ উৎপাদনকারী বৃহত্তম কোম্পানি পলিয়ুস-এ তার উল্লেখযোগ্য শেয়ার রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
৬. আন্দ্রেই কস্তিন- পুতিনের রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টির সুপ্রিম কাউন্সিল সদস্য আন্দ্রেই কস্তিন রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক ভিটিবি’র প্রেসিডেন্ট ও চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন।
৭. ভ্লাদিমির কিরিয়েঙ্কো- রাশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ভি-কন্টাক্ট’র প্যারেন্ট কোম্পানি ভিকে গ্রুপ। এই গ্রুপের প্রধান নির্বাহী ভ্লাদিমির নতুন করে নিষেধাজ্ঞাভূক্ত হয়েছেন। তার বাবা সের্গেই কিরিয়েঙ্কো ক্রেমলিনের ফার্স্ট ডেপুটি চিফ অব স্টাফ। সিনিয়র কিরিয়েঙ্কো আগে থেকেই মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছেন।
৮. আলেক্সি মিলার- অর্থনীতিতে ডক্টরেট ডিগ্রিধারী আলেক্সি মিলার রুশ জ্বালানি জায়ান্ট গ্যাজপ্রমের গ্রুপ ও ম্যানেজমেন্ট কমিটির প্রধান হিসেবে ২০০১ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করছেন।
৯. আন্দ্রেই পেট্রুশেভ- গ্যাজপ্রমের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রম নেফতের পদস্থ নির্বাহী আন্দ্রেই পেট্রুশেভ এবার মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় পড়লেন। তার বাবা নিকোলাই পেট্রুশেভ রাশিয়ার সিকিউরিটি কাউন্সিলের সেক্রেটারি। যিনি গতমাসে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতাভূক্ত হন।
১০. ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন- রেস্তোরাঁ ব্যবসায় ভাগ্য গড়েছেন বিলিওনেয়ার ইয়েভগেনি, যাকে অনেকে ‘পুতিনের শেফ’ বলে থাকেন। ক্রেমলিনে বহু রাষ্ট্রীয় ভোজসভায় ক্যাটারিং সার্ভিস দিয়েছে তার কোম্পানি। পুতিনের জন্ম শহর লেনিনগ্রাদেই ইয়েভগেনির জন্ম। ডাকাতির মামলায় সোভিয়েত আমলে তার জেল হয়েছিল।
১১. আন্দ্রেই পুচকভ- ভিটিবি ব্যাংকের ফার্স্ট ডেপুটি প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেই পুচকভ একসময় মস্কো বার এসোসিয়েশনের নেতা ছিলেন। কয়েক দশক ধরে পুতিনের সহচর তিনি।
১২. আরকাদি রোতেনবার্গ- রাশিয়ায় গ্যাস পাইপলাইন ও বিদ্যুত সম্প্রচার অবকাঠামো নির্মাণ খাতের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান স্ত্রয়গ্যাজমনতাঝ। এই কোম্পানির অন্যতম মালিক আরকাদি, যিনি পুতিনকে শৈশব থেকে চিনেন। আরকাদির বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ২০১৪ সালের মার্চ থেকে। তার দুই ছেলে সের্গেই ও বরিস রোতেনবার্গ পুতিনের ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত।
১৩. ইগর সেচিন- বিশ্বে জ্বালানি খাতের অন্যতম নেতৃস্থানীয় কোম্পানি রসনেফত’র ব্যবস্থাপনা পর্ষদের প্রেসিডেন্ট ও চেয়ারম্যান ইগর সেচিন। ২০০৮-২০১২ সময়কালে তিনি রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ফরাসি কর্তৃপক্ষ গত সপ্তাহে ইগর সেচিনের মালিকানাধীন সুপারইয়ট আমেরো ভেরো জব্দ করেছে।
১৪. ইভান সেচিন- ইগর সেচিনের ছেলে, রসনেফত’র প্রধান নির্বাহী।
১৫. আন্দ্রেই যুকচ- বিলিওনেয়ার আন্দ্রেই যুকচ রাশিয়ার ইস্পাত কোম্পানি লেবেদিনস্কি মাইনিংয়ের অন্যতম মালিক। ২০১২ সালে ফোর্বসের বিলিওনেয়ার তালিকায় আসা আন্দ্রেই যুকচ ১৯৯৯ সাল থেকে রুশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ দুমা’র সদস্য। ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টির নেতা।
১৬. ইউরি সলোভিয়েভ- ভিটিবি ব্যাংকের ফার্স্ট ডেপুটি প্রেসিডেন্ট।
১৭. নিকোলাই তোকারেভ- বিলিওনেয়ার নিকোলাই তোকারেভ রাশিয়ার অন্যতম তেল ও গ্যাস পাইপলাইন কোম্পানি ট্রান্সনেফত’র প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী ।
১৮. আলেক্সান্দার আলেক্সান্দ্রোভিচ ভিদিয়াখিন- রাশিয়ার বৃহত্তম ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান যুবেরু ব্যাংকের ফার্স্ট ডেপুটি চেয়ারম্যান।
১৯. ভিক্তর ভেকেলসবার্গ- ইউক্রেনে জন্মগ্রহণকারী বিলিওনেয়ার ভিক্তর ভেকেলসবার্গ রুশ কনগ্লোমারেট রেনোভা গ্রুপের মালিক।
২০. দেনিস বরতনিকভ- রুশ গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসএস)’র ডিরেক্টর আলেক্সান্দার বরতনিকভের ছেলে দেনিস রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যাংক ভিটিবি’র ডেপুটি প্রেসিডেন্ট। যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন দুই দেশই তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
২১. পিতর ফ্রাদকভ- প্রমসভিয়াজ ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী পিতর রাশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মিখাইল ফ্রাদকভের ছেলে। মার্কিন ও ব্রিটিশ নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছেন তিনি।
২২. এলেনা গিওর্গিয়েভা- নভিকম ব্যাংক’র চেয়ারম্যান। নভিকম ব্যাংক হলো প্রতিরক্ষা খাতে রাষ্ট্রায়ত্ব কোম্পানি রসটেক’র সহযোগী প্রতিষ্ঠান।
২৩. বরিস রোতেনবার্গ- আরকাদি রোতেনবার্গের ছেলে, এসএমপি ব্যাংকের অন্যতম মালিক। ব্যক্তিগতভাবে পুতিনের ভীষণ ঘনিষ্ট। পুতিনের ছেলেবেলার বন্ধু। দুজন একসঙ্গে জুডো শিখেছেন।
২৪. ইগর রোতেনবার্গ- বরিস রোতেনবার্গের ভাগ্নে। ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী। গ্যাজপ্রমে ভালো যোগাযোগ রয়েছে।
২৫. কিরিল শামালভ- ৩৯ বছর বয়সী কিরিল রাশিয়ার কনিষ্ঠতম বিলিওনেয়ার। পুতিনের মেয়ে কাতেরিনা তিকোনোভার এক্স হাজবেন্ড। পেট্রোকেমিক্যাল কোম্পানি যিবুর’র শেয়ারহোল্ডার ও ডিরেক্টর। তার বাবা নিকোলাই শামালভ রসিয়া ব্যাংকের অন্যতম মালিক।
২৬. ইগর শুভালভ- রাশিয়ার ডেভেলপমেন্ট ফান্ডিং এজেন্সি ভিনেশকনমবাংক-এর প্রধান ইগর শুভালভ। সেন্ট্রাল লন্ডনের সোয়া কোটি পাউন্ড মূল্যের দুটি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে তার। ব্রিটেনে তার সব সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। ব্রিটেনে ভ্রমন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তার সঙ্গে ব্রিটিশ নাগরিকদের কোনোরকম ব্যবসা ও লেনদেন নিষিদ্ধ।
২৭. ইউরি স্লায়ুসার- রুশ প্রতিরক্ষা বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহকারক। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড এয়ারক্রাফট করপোরেশনের প্রধান।
২৮. গেন্নাদি তিমশেঙ্কো- ৬৯ বছর বয়সী বিলিওনেয়ার, পুতিনের বন্ধু। ইনভেস্টমেন্ট ফার্ম ভোলগা গ্রুপের মালিক। রাশিয়ায় জ্বালানি, পরিবহন, অবকাঠামো ও আর্থিক সেবা খাতে ব্যবসা রয়েছে ভোলগা গ্রুপের। এছাড়া কমোডিটি ট্রেডিং ফার্ম গুনভর-এর প্রতিষ্ঠাতা তিনি। গত সপ্তাহে সানরেমো উপকূলে তার বিলাসবহুল লেনা ইয়ট জব্দ করেছে ইতালির ফিন্যান্সিয়াল পুলিশ
২৯. আলিশার উসমানভ- আকরিক লোহা ও ইস্পাত খাতের জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান মেতালোইনভেমেন্ট গ্রুপের অন্যতম শেয়ারহোল্ডার। মিডিয়া ও ইন্টারনেট সেক্টরেও তার বিনিয়োগ রয়েছে। লন্ডন, সারদিনিয়া, লেক কোমো আইল্যান্ডসহ বেশকিছু জায়গায় বিলাসবহুল ভিলা, রিসর্ট, ইয়ট রয়েছে তার। ২০১৮ সাল পর্যন্ত ছিলেন আর্সেনালের অন্যতম শেয়ারহোল্ডার। এখন এভার্টন ক্লাবে মালিকানা রয়েছে তার, যদিও ব্রিটিশ ক্লাবটি সম্পর্কেচ্ছেদের দাবি করেছে। তার লাক্সারি ইয়টসহ কয়েকটি ভিলা জব্দ করেছে ইতালির পুলিশ।
৩০. পেতর আভেন- রাশিয়ার বৃহত্তম বানিজ্যিক ব্যাংক আলফা ব্যাংক-এর অন্যতম শেয়ারহোল্ডার। ইনভেস্টমেন্ট ফার্ম লেটার ওয়ান গ্রুপের পর্ষদ সদস্য।
৩১. মিখাইল ফ্রিডম্যান- ইউক্রেনের জন্মগ্রহণকারী মিখাইল ফ্রিডম্যান আলফা ব্যাংক ও লেটার ওয়ান গ্রুপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা।
৩২. দিমিত্রি গ্রিগোরেঙ্কো- রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী ও চিফ অব গভর্নমেন্ট স্টাফ দিমিত্রি গ্রিগোরেঙ্কো ভিটিবি ব্যাংকের সুপারভাইজরি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান।
৩৩. কনস্তান্তিন কেনাইরিক- মিডিয়া গ্রুপ নিউজ ফ্রন্ট লিমিটেডের প্রধান। ক্রিমিয়ায় রাশিয়াপন্থী রাজনৈতিক দল রোদিনা পার্টির নেতা।
৩৪. মোদেস্ত কোলেরভ- নিউজ ওয়েবসাইট রেগনাম পোর্টালের প্রধান সম্পাদক।
৩৫. আলেক্সি মোরদাশভ- ভ্লাদিমির পুতিনের বন্ধু আলেক্সি মোরদাশভ রাশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। ইউরোপের সবচেয়ে বড় ট্যুর অপারেটর টিইউআই’র এক তৃতীয়াংশ শেয়ারহোল্ডার। এককভাবে এই ট্যুর জায়ান্টের সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার তিনি। ইনভেস্টমেন্ট ফার্ম যিবির গ্রুপের চেয়ারম্যান। ইস্পাত খাতের জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান যিবিরস্টিলের মালিক তিনি। ইতালির পুলিশ গত ৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার লেগুরিয়া হারবারে মোরদাশভের সাত কোটি ডলার মূল্যের একটি ইয়ট জব্দ করেছে।
৩৬. আলেক্সান্দার পনোমারেঙ্কো- ব্যাংকিং, রিয়েল এস্টেটের পাশাপাশি সমুদ্র ও বিমানবন্দর নির্মাণ ব্যবসায় সম্পদের পাহাড় গড়েছেন আলেক্সান্দার। মস্কোর শেরেমেতিয়েভো এয়ারপোর্টের বোর্ড চেয়ারম্যান তিনি।
৩৭. ভায়োলেতা প্রিগোঝিনা- পুতিনের শেফ হিসেবে পরিচিত ইয়েভগেনি প্রিগোঝিনের মা। কনকর্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড কনসালটিং এলএলসি’র মালিক।
৩৮. লিউবভ প্রিগোঝিনা- ইয়েভগেনি প্রিগোঝিনের স্ত্রী লিউবভ অটোমাবাইল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আগাত এলএলসি’র মালিক। যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশে ফ্র্যাঞ্চাইজি রয়েছে তার।
৩৯. মাক্সিম রেশেতনিকভ- রাশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী। ভিটিবি ব্যাংকের সুপারভাইজরি কাউন্সিল মেম্বার।
৪০. সের্গেই রোলদুগিন- চেলো বাদক সের্গেই রোলদুগিন ছিলেন কাইরভ থিয়েটার অর্কেস্ট্রার সদস্য। পুতিনের বড় মেয়ে মারিয়ার গতফাদার তিনি। ইইউ’র ভাষায় তিনি ‘পুতিনের আর্থিক নেটওয়ার্কের অংশ’।
৪১. ভ্লাদিমির সলোভিয়েভ- রুশ সাংবাদিক, টেলিভিশন উপস্থাপক। ইউক্রেনের বিপক্ষে প্রচারণার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। লেক কোমোতে তার মালিকানাধীন একটি ভিলা গত সপ্তাহে জব্দ করেছে ইতালির পুলিশ।
৪২. রোমান আব্রামোভিচ- রাশিয়ার চুকতকা স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলের সাবেক গভর্নর রোমান আব্রামোভিচ ইনভেস্টমেন্ট ফার্ম মিলহাউসের মালিক। প্রিমিয়ার লীগ ফুটবল ক্লাব চেলসির মালিক হিসেবে বেশি পরিচিত এই ধনকুবের ও রাজনীতিক। ফোর্বসের হিসাবে তার সম্পদের পরিমাণ ১ হাজার ২২০ কোটি ডলার। পর্তুগালের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি রোমান আব্রামোভিচ ইসরায়েলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ধনী এবং রাশিয়ার শীর্ষ ধনীর তালিকায় রয়েছেন ১১তম অবস্থানে। হ্যাঁ, পর্তুগাল ইসরায়েল রাশিয়াসহ বহু দেশেই তার সম্পদ রয়েছে, নাগরিকত্বও রয়েছে কয়েকটি দেশে।
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর
Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.
Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.