মুত্তাকি: আফগানিস্তানে বিদেশি স্টাইলের সরকার চলবে না

আফগানরা নিজেরাই তাদের সরকার গঠন করতে সক্ষম। তাদের ওপর বিদেশি স্টাইলের সরকার চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়। গতকাল শনিবার তুরস্কের আন্টালিয়া কূটনৈতিক ফোরামে এ কথা বলেন দেশটির ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ফোরামে মুত্তাকি এবং তার প্রতিনিধি দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

আন্টালিয়া ফোরামে বক্তব্য দিচ্ছেন আমির খান মুত্তাকি

সরকারে অন্তর্ভুক্তি বাড়ানোর চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে মুত্তাকি বলেন, আফগানদের ওপর বিদেশি সংস্করণ (সরকারের) বা বিদেশি মতাদর্শ চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়। কারণ আগের (সরকারের) সংস্করণটি দিয়ে চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু তা সফল হয়নি।

মুত্তাকি এ সময় বলেন, ইসলামিক আমিরাত সরকার আফগান অর্থনীতিকে উদ্ধারের চেষ্টা করছে এবং অর্থনৈতিক পতন রোধে সরকারি পদক্ষেপসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এরই মধ্যে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। একটি দুর্বল আফগান সরকার কারোই কোনো উপকারে আসবে না। তাই আফগানিস্তানের বর্তমান সরকারকে দুর্বল করার প্রচেষ্টা বন্ধ করতে হবে।

তালেবান সরকারের একাংশ, ফাইল ছবি

সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী এ সময় জোর গলায় দাবি করেন, ইসলামী আমিরাত আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য সমস্ত শর্ত পূরণ করেছে।

তুরস্কের পার্লামেন্টের সদস্য কামিল আইদিন বলেন, কীভাবে আফগানিস্তানের বাস্তবতাকে (সাথে নিয়ে) সহযোগিতা করা যায়, সেই চেষ্টা করতে হবে। আফগান রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাবেক প্রধান ফাতিমা গাইলানি বলেন, আফগানিস্তানকে স্বীকৃতির অভাব যে শুধু তালেবান সরকারকে কষ্ট দিচ্ছে বা শাস্তি দিচ্ছে, এমনটা নয় বরং এটা পুরো আফগানিস্তানের জন্য শাস্তিস্বরূপ।

সম্মেলনে উজবেকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল আজিজ কামিলভ আফগান পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে বলেন, আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি এই অঞ্চলের দেশগুলোর ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলছে। তাই দেশটির স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তায় আমরা আগ্রহী।

গত বছরের ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। এর ১৫ দিনের মধ্যে তারা সরকার গঠন করে। বিভিন্ন দেশ তাদের সাথে এক যোগে কাজ করার আগ্রহ দেখিয়েছে। কিন্তু সাত মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো দেশ আফগানিস্তানের সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি।