ইউক্রেনে যুদ্ধের পরিণতি নিয়ে ভ্যাটিকান কর্মকর্তার উদ্বেগ

ভ্যাটিকানের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের ইঙ্গিত হল, বিশ্ব একটি নতুন ভবিষ্যতের দিকে পদক্ষেপ নেয়ার সাহস না করে অতীতে ফিরে যাচ্ছে। ভ্যাটিকান সেক্রেটারি অব স্টেট কার্ডিনাল পিয়েত্রো প্যারোলিন এ কথা বলেছেন। পোপ ফ্রান্সিসের পরে ক্যাথলিক গির্জার দ্বিতীয় ক্ষমতাশালী ব্যক্তি হিসাবে ব্যাপকভাবে সম্মান করা হয় তাকে। বিবিসি।

পিয়েত্রো প্যারোলিন

রাশিয়াকে ইউক্রেনের সাথে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়ে প্যারোলিন বলেন, যুদ্ধবাজ নেতারা অস্ত্রের শয়তানী যুক্তির ওপর নির্ভর করে এবং মানবতা ভুলে যায়। তিনি মধ্যস্থতার আয়োজন করার জন্য ভ্যাটিকান সিটির প্রস্তাবের পুনরাবৃত্তি করেন। শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের জন্য সহাবস্থানের পদক্ষেপ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ভ্যাটিকান কর্মকর্তা বলছেন, যুদ্ধ হল একটি ক্যান্সারের মতো যা বৃদ্ধি পায়, প্রসারিত হয় এবং নিজের ওপর ভোজন করে। বক্তব্যে তিনি সেন্ট জন পলের কিছু ভবিদ্বাণীর কথা যুক্ত করেন। তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যবশত আমরা এমন একটি ঘূর্ণিতে পড়ে গেছি যা প্রত্যেকের জন্য দুর্ভাগ্যজনক পরিণতি আনতে পারে। তবে উদ্যোগ নিলে শান্তি ফিরতে দেরি হবে না।

কিয়েভে বিস্ফোরক ড্রোন বিধ্বস্ত: গতকাল শনিবার বিকেলে ইউক্রেনের নিরাপত্তা বাহিনী কিয়েভে একটি ড্রোন নামিয়েছে। ড্রোনটিতে তিন কেজি বিস্ফোরক রয়েছে বলে জানা গেছে। এটি কিয়েভের পোডিল পাড়ায় বিধ্বস্ত হয়। এ সময় একটি ব্যাংকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ছবিগুলোর ভৌগলিক অবস্থান যাচাই করেছে বিবিসি।

সর্বশেষ পরিস্থিতি: মোলদোভার প্রধানমন্ত্রী নাটালিয়া গ্যাভরিলিয়া বিবিসিকে বলেছেন, ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের আগমন মোকাবেলায় তাদের অবশ্যই বাইরের সাহায্যের প্রয়োজন। ইউরোপের দরিদ্রতম দেশগুলোর মধ্যে একটি মোলদোভা। তারপরও ইউক্রেনের প্রায় এক লাখ লোককে আশ্রয় দিয়েছে দেশটি।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দাবি করেছেন, এ পর্যন্ত সংঘাতে ১ হাজার ৩০০ ইউক্রেনীয় সেনা মারা গেছে। শনিবার মানবিক করিডোরের মাধ্যমে ১৩ বেশি লোককে বিভিন্ন শহর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে কেউ মারিউপোল ছেড়ে যেতে পারেননি।

ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলছেন, রাশিয়ান সৈন্যরা শহর দখলে নেওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে মারিউপোলের লোকেরা। ইউক্রেন আরও দাবি করেছে, রাশিয়ান সৈন্যরা কিয়েভের কাছে একটি গ্রামে নারী ও শিশুদের একটি কাফেলার ওপর গুলি চালিয়ে সাতজনকে হত্যা করেছে। তবে মস্কো এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁন এবং জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।