মুখ্যমন্ত্রীর দাবি: আসামে মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ, হিন্দুরা সংখ্যালঘু

আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছেন, আসামে মুসলিমরা সংখ্যালঘু নয় বরং তারাই এখন সংখ্যাগরিষ্ঠ। আর সে কারণেই রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করা তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। পাশাপাশি আসাম যেন কাশ্মির না হয়ে যায়, সেটিও লক্ষ করা তাদেরই দায়িত্ব। তার এই মন্তব্যে শোরগোল পড়ে গেছে রাজ্যজুড়ে।

আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা

গত মঙ্গলবার বিধানসভায় আসামের রাজ্যপালের ভাষণের পর বক্তব্য রাখেন হিমন্ত। সে সময় তিনি বলেন, আজ মুসলিমরা অনেকেই বিরোধী দলের নেতা, বিধায়ক। তাদের হাতে রয়েছে যথেষ্ট ক্ষমতা। এ পর্যায়ে উপজাতি গোষ্ঠীর মানুষের অধিকার সুরক্ষিত করা, উপজাতিদের ভূমি যাতে বেদখল না হয়, তা দেখা উচিত তাদের।

হিমন্ত আরো মনে করিয়ে দেন, যাদের হাতে ক্ষমতা আছে তাদের দায়িত্বও বেশি। বর্তমানে রাজ্যের ৩৫ শতাংশ জনতাই মুসলিম সম্প্রদায়ের। তাদের উচিত সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

মুসলিম এসব ভোটারের প্রভাব রাজনীতিতে কম নয়

দশ বছর আগে পরিস্থিতি ভিন্ন ছিল দাবি করে হিমন্ত বলেন, এখন আমরা সংখ্যালঘু। এ অবস্থায় অসমীয়াদের সংস্কৃতি বিপন্ন হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। তারা রীতিমতো ভয়ে রয়েছে।

এসময় কাশ্মিরি পণ্ডিতদের গণহত্যার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে হিমন্ত বলেন, অসমীয়াদের অবস্থাও কি কাশ্মিরের পণ্ডিতদের মতো হবে! এই ভয় দূর করার দায়িত্ব মুসলিমদের। তাদের জন্য উচিত হবে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতো আচরণ করা। তদের আশ্বস্ত করা উচিত যে, কাশ্মিরের মতো পরিস্থিতি আসামে হবে না।

উল্লেখ্য, হিমন্ত শর্মা এক সময়ে কংগ্রেসের হয়ে রাজনীতি করতেন। কিন্তু ক্ষমতা নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হওয়ায় নয় বছর আগে তিনি যোগ দেন বিজেপিতে। এরপর প্রাণপন চেষ্টা চালান গেরুয়া এই দলটিকে গোছাতে এবং তাতে সফলও হন। এক পর্যায়ে রাজ্যের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় বিজেপি। হিমন্তও পেয়েছেন তার পুরস্কার। এখন তিনি বিজেপির হয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।