আতঙ্ক ও ধ্বংসস্তূপের নগরী অবরুদ্ধ মারিউপোল!

ইউক্রেনের মারিউপোল শহর মুহুর্মুহু গোলাবর্ষণে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। হামলা ও বিস্ফোরণ অব্যাহত থাকায় উদ্ধার কাজ চালানো যাচ্ছে না। শহরের উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার কাজ করার সময় বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। কর্মকর্তারা বলেছেন, গত বুধবার রাশিয়ার বিমান হামলায় থিয়েটার ভবনে আঘাত হানে রাশিয়ান রকেট। এতে থিয়েটারটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। বিবিসি।

অবরুদ্ধ শহর মারিউপোলের একটি থিয়েটারে বিমান হামলা

ভবনটিতে শত শত বেসামরিক লোক রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ভবনটি একটি বেসামরিক আশ্রয়কেন্দ্র ছিল। অবরুদ্ধ শহরের সাথে এখন যোগাযোগ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। কর্তৃপক্ষ এখনও বেঁচে থাকা কিংবা সম্ভাব্য হতাহতের কোনো চিত্র হাতে পায়নি।

মারিউপোলের মেয়র ভাদিম বয়চেঙ্কো বলেছেন, এই মুহূর্তে উদ্ধার অভিযান চলছে। হতাহতের পরিসংখ্যান পেতে আরও সময় লাগবে। এখনও শহরে বোমা হামলা হচ্ছে। এতে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে।

মারিউপোলের ইউক্রেনীয় এমপি দিমিত্রো গুরিন জানান, তার বাবা-মা শহরে আটকা পড়েছেন। তারা আমাকে জানিয়েছেন, কিছু লোক এলাকা ছেড়ে চলে যেতে পেরেছে। কিন্তু সবকিছু ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। তিনটি জোনে আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে, জানি না সেসব স্থানে কী চলছে।

ওই এমপি জানান, মনে হচ্ছে বোমা হামলায় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর উল্লেখযোগ্য ক্ষতি না হলেও লোকেরা বের হতে পারছে না ভয়ে। কারণ চারদিকে আর্টিলারি ফায়ারের শব্দ। ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করা যাচ্ছে না। সময় খুবই বিপজ্জনক।

সবশেষ পরিস্থিতি: লভিভ বিমানবন্দরের কাছে একটি বিমান রক্ষণাবেক্ষণ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। পোলিশ সীমান্ত থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে ইউক্রেনের পূর্ব এবং দক্ষিণে প্রধান যুদ্ধ অঞ্চল থেকে বেশ দূরে লভিভ শহরে হামলা গোলাবর্ষণ চলছে।

মার্কিন এবং যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলেছেন, রাশিয়ান বাহিনী সাম্প্রতিক কোনো আঞ্চলিক অগ্রগতি করেনি। তারা মনোবল হারাচ্ছে ও লজিস্টিক সংকটে ভুগছে। ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে গোলাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। তবে শহরটি স্থানীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, রাশিয়ান বাহিনীর ব্যাপক আক্রমণের মুখে দক্ষিণ-পূর্বের শহর মারিউপোল থেকে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, কিয়েভ অঞ্চল থেকে রাতারাতি এক হাজারেরও বেশি ইউক্রেনীয়কে বাস ও গাড়িতে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।