পাওনা টাকা চাওয়ায় অপমানবোধ, অতঃপর খুন!

মাসুদ মিয়া (২২)। পেশায় একজন ড্রাম ট্রাকের চালক। দৈনিক ১৫০০  টাকা হাজিরায় সপ্তাহে ৩ দিন ট্রাক চালিয়ে প্রায় ৪ হাজার ৫০০ টাকা করে মাসিক ১৮ হাজার  টাকা আয় করতো। হঠাৎ তার সেই  চাকরি চলে যাওয়ায় সম্পূর্ণ বেকার হয়ে যাওয়ায় সে “হাবিব ভ্যারাইটিজ স্টোর” নামীয় মুদি ও জ্বালানি তেলের দোকানের মালিক হেকমত আলীসহ (৬২) বেশ কয়েকজনের নিকট বাকিতে জিনিসপত্র কিনে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে।

এদিকে, পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য বিভিন্ন মানুষের উপস্থিতিতে হেকমত আলী মাসুদ মিয়াকে চাপ প্রয়োগ করেন। এতে মাসুদ মিয়া অপমানবোধ করে। এ কারণেই  প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তার সঙ্গীয় লোকজনসহ ওই দোকানে নগদ টাকা লুট করার পরিকল্পনা করে সে। এ সময়  ব্যবসায়ী হেকমত আলী তাদের চিনে ফেললে ও কাজে বাধা প্রদান করলে তাকে হত্যা করা হবে বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পরবর্তীতে পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২০ মার্চ রাতে মাসুদ মিয়া ও তার সঙ্গীরাসহ হেকমত আলীর দোকানে যেয়ে তাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে মারপিট করতে থাকে। এক পর্যায়ে হেকমত মিয়া আসামিদের চিনে তাদের নাম ধরে ডাকেন এবং বিষয়টি এলাকার সবাইকে বলে দেবেন বলে জানান। তখন আসামি মাসুদ মিয়া পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তার মাথায় কাঠের ডাসা দিয়ে আঘাত করে। এতে গুরুতর রক্তাক্ত হয়ে মারা যান হেকমত আলী।

এরপর মাসুদ মিয়া সঙ্গীয় লোকজনসহ দোকানের ক্যাশ বাক্সে থাকা তেল বিক্রয়ের নগদ ১০ লাখ টাকা নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে আত্মগোপনে চলে যায়।

নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর থানার দুর্গাপুর ইউনিয়নের মধ্যমবাগানের “হাবিব ভ্যারাইটিজ স্টোর” নামীয় মুদি ও জ্বালানি তেলের দোকানে  হেকমত আলী নামের এক তেল ও মুদি ব্যবসায়ীকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনার মূল অভিযুক্ত সেই মাসুদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি।