কিয়েভ পুনর্দখল করার দাবি ইউক্রেনের

রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের মধ্যে সবশেষ আলোচনাটি হয় তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে। সেই আলোচনার জের ধরে বড় কোনো সাফল্য না এলেও ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে রাশিয়া। বিষয়টাকে ‘রাশিয়ার কাছ থেকে কিয়েভ পুনর্দখল’ বলে আখ্যা দিয়েছে ইউক্রেন।

বুচা শহরের বীভৎস পরিস্থিতি

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করার কিছুদিনের মধ্যেই রাজধানী কিয়েভের নিয়ন্ত্রণ নেয় রুশ বাহিনী। গত দুই সপ্তাহ ধরে সেখানে তুমুল লড়াই চলে। এরপর গত মার্চ মাসের একেবারে শেষদিকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করে রাশিয়া। গতকাল ২ এপ্রিল এক বিবৃতিতে ইউক্রেন জানিয়েছে, পুরো কিয়েভ এখন সম্পূর্ণ মুক্ত।

ইউক্রেনের উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী হান্না মালিয়ে জানিয়েছেন- বুচা, ইরপিন, হোস্তোমেলসহ পুরো কিয়েভ এখন আক্রমণকারীদের থেকে মুক্ত। তবে তার বক্তব্য উদ্ধৃত করে প্রতিবেদন করা সিএনএন জানিয়েছে, হান্না মালিয়ের এই দাবি স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

রুশ বাহিনীর বিমান হামলা, ফাইল ছবি

কিয়েভের পার্শ্ববর্তী গুরুত্বপূর্ণ শহর বুচা। রুশ বাহিনী শহরটি ছেড়ে যাওয়ার পর সেখানে প্রবেশ করে বাকরুদ্ধ হয়ে গেছেন ইউক্রেনীয় বাহিনীর সদস্যরা। বীভৎস শহরটির অলিতে-গলিতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে মৃতদেহ। কিয়েভের মেয়র আনাতোলি ফেডোরুক জানান, বুচায় আমরা ইতিমধ্যেই ২৮০ জনকে গণকবরে দাফন করেছি।

ব্যাপকভাবে ধ্বংস হওয়া শহরের রাস্তাগুলো এখনো লাশে ছেয়ে গেছে। এ সমস্ত ব্যক্তিকে মাথার পেছনে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। বোমার ফাঁদ পাতার আশঙ্কা থাকায় অনেকগুলো মৃতদেহ সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। ফেডোরুক বলেন, রাশিয়ার সেনারা ইচ্ছাকৃতভাবে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এগুলো মূলত বেসামরিক নাগরিকদের ওপর চালানো গণহত্যা।