উপ-প্রধানমন্ত্রীর দাবি: দেউলিয়া হয়ে গেছে লেবানন

স্থানীয় আল-জাদেদ চ্যানেলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে লেবাননের উপ-প্রধানমন্ত্রী সাদেহ আল-শামির বলেছেন, ব্যাংক ডু লিবানের মতো লেবানন রাষ্ট্রটিও দেউলিয়া হয়ে গেছে। এক্ষেত্রে ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গেছে, আমরা এখন জনগণের ক্ষতি কমাতে চাই। আমরা ক্ষতিগুলো রাষ্ট্র, ব্যাংক ডু লিবান, সাধারণ ব্যাংক ও আমানতকারীদের মধ্যে ভাগ করে দিতে চাই।

লেবাননের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও তার গভর্নর

জানা গেছে, ২০১৯ সালের শেষাংশ থেকে লেবানন গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়ে। এ সময়ে লেবাননের মুদ্রার ব্যাপক দরপতন ঘটে এবং জ্বালানি ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে ঘাটতি তৈরি হয়। মুদ্রা তার মূল্যের ৯০ শতাংশ হারিয়েছে। খাদ্য, পানীয়, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষাসহ মানুষের মৌলিক পণ্য সংগ্রহের সক্ষমতা হ্রাস পায়। জ্বালানির ঘাটতির কারণে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মুখে পড়ে সাধারণ জনগণ।

চলমান অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ২০১৯ সাল থেকে লেবাননে বৈদেশিক মুদ্রায় নগদ উত্তোলন কঠোরভাবে সীমিত করা হয়েছে। আল শামি বলেন, বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা সামনে রেখে সবার জন্য ব্যাংকিংও অবাধ রাখা হয়নি।

লেবাননে চলছে বিক্ষোভ

কয়েক দশকের দুর্নীতি এবং খারাপ নীতির কারণে সৃষ্ট আর্থিক বিপর্যয়ের তৃতীয় বছরে রয়েছে লেবানন। এ অবস্থায় ব্যাংকগুলো সঞ্চয়কারীদের নগদ অর্থ উত্তোলন আটকে দিয়েছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে একটি সরকারি আর্থিক উদ্ধার পরিকল্পনা উত্থাপন করা হলে প্রায় সাত হাজার কোটি লেবানিজ পাউন্ডের ঘাটতি দেখা যায়। দেশটির সরকার আইএমএফ থেকে এ ব্যাপারে সাহায্য কামনা করছে।