জেলেনস্কি: রাশিয়ার যুদ্ধাপরাধ নথিভুক্ত হচ্ছে, বিচার হবে

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দেশটির দখলকৃত অঞ্চলে রাশিয়ান বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগগুলো সংরক্ষণ ও বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ইউক্রেনীয় জনগণের উদ্দেশে সোমবার রাতের ভাষণে তিনি বলেন, তদন্তকারীরা অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। আজ মঙ্গলবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ভাষণ দেবেন জেলেনস্কি। বিবিসি।

ভাষণ দিচ্ছেন জেলেনস্কি

জেলেনস্কি বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যুদ্ধাপরাধে জড়িত রুশ সেনাদের চিহ্নিত করার জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করছি। যুদ্ধারপরাধ বিচারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো ইউক্রেনের সাথে যোগ দেবে। বিশেষকরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সাথে তারা একত্রে কাজ করবে।

তিনি বলেন, দখলকারীদের সমস্ত অপরাধ নথিভুক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি অপরাধের জন্য রাশিয়ান সামরিক বাহিনীকে বিচারের আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় পদ্ধতিগত ভিত্তি প্রদান করা হয়েছে। তিনি ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেইন, পোলিশ প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ডুদা এবং অস্ট্রিয়ান চ্যান্সেলর কার্ল নেহামারের সাথে যুদ্ধাপরাধ তদন্তের অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছেন।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ

রাশিয়া যুদ্ধাপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে: জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন, রুশ বাহিনী দখলকৃত এলাকায় যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমাদের অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে। কিয়েভে বেসামরিক গণহত্যার ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে। এখন থেকে দখলদাররা তাদের অপরাধ অস্বীকার করতে পারে।

বলা হচ্ছে, রাশিয়া ইতোমধ্যেই মারিওপলে বেসামরিক মানুষকে হত্যার অপরাধ গোপন করার জন্য একটি মিথ্যা প্রচারণা শুরু করছে। গণহত্যার নতুন প্রমাণ তারা হাজির করতে পারে। এজন্য তারা কয়েক ডজন অভিনয় যুদ্ধের ভিডিও প্রকাশ করতে পারে। পরে তা এমনভাবে সম্পাদনা করবে, যাতে মনে হয় হত্যাযজ্ঞ অন্য কোনো বাহিনী চালাচ্ছে।

জেলেনস্কি বলেন, রুশ বাহিনী ডনবাসে একই কৌশল ব্যবহার করেছিল। তারা মালয়েশিয়ার একটি বোয়িংকে গুলি করে ইউক্রেনকে দোষারোপ করেছিল। এমনকি তারা বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের তত্ত্বও নিয়ে এসেছিল। পুতিনের শাসনামলে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানান জেলেনস্কি।