তাইওয়ানকে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ইউক্রেনে রুশ হামলার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র এখন খুবই সতর্ক। দেশটি তার মিত্রদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। ইউক্রেনের পর এবার যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছে, প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তাইওয়ানের কাছে হস্তান্তর করবে দেশটি। যাতে থাকবে ৯৫ মিলিয়ন ডলারের প্রশিক্ষণ এবং সরঞ্জাম বিক্রি। টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র, ছবি- আলজাজিরা

তাইপে জানিয়েছে, চীনের যেকোনো আক্রমণ থেকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের এই সহায়তা কাজে লাগবে। প্যাট্রিয়ট একটি অত্যন্ত শক্তিশালী 'মোবাইল সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম' যা চীনা যুদ্ধবিমানগুলোর বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হবে।

পেন্টাগনের প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রস্তাবিত প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের ক্ষেপণাস্ত্র বিনিময় বজায় রাখবে এবং বিমান অভিযানের জন্য প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। আঞ্চলিক হুমকির প্রতিবন্ধক এবং স্বদেশ প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করার জন্য তাইওয়ান প্রস্তাবিত প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম ব্যবহার করবে।

টার্গেট শুট প্র্যাকটিস করছে তাইওয়ানের সেনারা

তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অস্ত্র চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। এ চুক্তি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অধীনে তৃতীয় বারের মতো অনুমোদন পেল। বলা হচ্ছে, এর মাধ্যমে ‌বেইজিংয়ের 'অব্যাহত সামরিক সম্প্রসারণ এবং উস্কানি' থেকে তাইওয়ানকে রক্ষা করতে সহায়তা করবে। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পরিকল্পিত চুক্তিটি এক মাসের মধ্যে কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বেইজিংয়ের সঙ্গে উত্তেজনা: চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বকে ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করার সময় তাইওয়ান সর্বশেষ অস্ত্র কেনার বিষয়টি সামনে আনল। কারণ তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা সর্বদা চীনের হুমকির মুখে রয়েছে। চীন তাইওয়ানকে নিজ ভূখণ্ড হিসেবে বিবেচনা করে এবং প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করে একদিন এটি দখল করার হুমকিও দিয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপির মতে, বেইজিং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নাটকীয়ভাবে তাইওয়ানের ওপর সামরিক ব্যবস্থার হুমকি বাড়িয়েছে। গতবছর তাইওয়ানের বায়ু প্রতিরক্ষা অঞ্চলে ৯৬৯টি যুদ্ধবিমান পাঠায় চীন, যে সংখ্যা ২০২০ সালে ছিল ৩৮০। চলতি বছর তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা অঞ্চলে ইতোমধ্যে ৩৮০টি যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে চীন।