পেন্টাগন: কিয়েভ ও চেরনিহিভ থেকে সরে গেছে রুশ বাহিনী

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ এবং আরেক শহর চেরনিহিভ থেকে রাশিয়ান সেনা প্রত্যাহার সম্পূর্ণ হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ। পেন্টাগনের একজন কর্মকর্তা গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের বলেছেন, এই দুই শহর থেকে রাশিয়ান বাহিনী সম্পূর্ণ প্রত্যাহার সম্পন্ন করেছে। বিবিসি।

ধ্বংসযজ্ঞের পাশে একজন ইউক্রেনীয় সেনা

পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, আমরা কিয়েভ বা চেরনিহিভের আশেপাশে রাশিয়ান বাহিনী দেখছি না। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের কৌশলগত হামলা ব্যর্থ হয়েছে। তিনি সত্যিই শুধু একটি ছোট জনসংখ্যা অধ্যুষিত এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে পেরেছেন। এমনকি খারকিভও তারা নিতে পারেনি।

ইউক্রেনের পূর্ব ডোনবাস অঞ্চলে রাশিয়া আক্রমণ কেন্দ্রীভূত করার ঘোষণা দেওয়ার কয়েকদিন পর অঞ্চল দুটি থেকে রুশ বাহিনী প্রত্যাহারের তথ্য সামনে এলো। পেন্টাগনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, রাশিয়ান সৈন্যরা ভবিষ্যতে কিয়েভে ফিরে যেতে পারে এবং পশ্চাদপসরণকারী সেনারা ফিরে আসবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।

কিয়েভের রাস্তায় রুশ সেনারা

ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অফ ওয়ার থিঙ্ক-ট্যাঙ্কের মতে, রাশিয়ান ইউনিটগুলোর কিয়েভের চারপাশ থেকে পশ্চাদপসরণ করে আবার যুদ্ধের মাঠ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার সম্ভাবনা কম। তার মতে, ইউক্রেনে পাঠানো ১৩০ রাশিয়ান ব্যাটালিয়নের মধ্যে ৮০ ব্যাটালিয়ন সেনা এখনও ইউক্রেনে রয়ে গেছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, রুশ সেনা প্রত্যাহারের সংখ্যা কমপক্ষে ২৪ হাজার হবে।

পরিস্থিতির সার-সংক্ষেপ: ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী খারকিভ, লুহানস্ক এবং দোনেৎস্কের পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। কারণ আশঙ্কা বাড়ছে রাশিয়া সেখানে আক্রমণ জোরদার করবে।

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পুতিনের প্রাপ্তবয়স্ক কন্যাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং রাশিয়ান ব্যাংকগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এই পদক্ষেপ পুতিনের ওপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়াবে।

যুক্তরাজ্য রাশিয়ার বৃহত্তম ব্যাংক এসবার ব্যাংকের সম্পদ জব্দ করেছে এবং রাশিয়ায় সব ধরনের ব্রিটিশ বিনিয়োগ নিষিদ্ধ করেছে। ইইউ আরও নিষেধাজ্ঞার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ন্যাটো পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আলোচনার জন্য বৈঠকে বসেছেন।