মেক্সিকো সীমান্তে হাজারো ইউক্রেনীয় শরণার্থী, ঢুকছে যুক্তরাষ্ট্রে

হাজার হাজার ইউক্রেনীয় শরণার্থী যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে জড়ো হয়েছে। তিজুয়ানা-সান দিয়েগো সীমান্ত দিয়ে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে চায়। প্রেসিডেন্ট বাইডেন গত মাসে ঘোষণা করেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এক লাখ ইউক্রেনীয় শরণার্থীকে গ্রহণ করবে। বিবিসি।

যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে কয়েকটি ইউক্রেনীয় পরিবার

সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, প্রতিদিন প্রায় ১৫০ ইউক্রেনীয়কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করানো হচ্ছে। ইউক্রেনীয়রা আশ্রয় নেওয়ার জন্য সীমান্তে যাওয়ার আগে পর্যটক ভিসায় মেক্সিকোতে আসে। তিজুয়ানার একটি জিমনেসিয়াম ইউক্রেনীয়দের আশ্রয়কেন্দ্রে রূপান্তরিত করা হয়েছে।

খবর বলছে, গতকাল বুধবার পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ৭০০ শরণার্থী সীমান্ত শহরে রয়ে গেছে। ফেব্রুয়ারির শেষদিকে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ৪.২ মিলিয়নেরও বেশি শরণার্থী ইউক্রেন থেকে পালিয়ে যায়। অনেকে পোল্যান্ড এবং রোমানিয়ার মতো প্রতিবেশী দেশে চলে গেছে।

ইউক্রেনে ধ্বংসযজ্ঞ

লাতিন আমেরিকা, প্রধানত স্প্যানিশভাষী দেশগুলো ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের প্রতি দেওয়া অগ্রাধিকার কার্যক্রমের নিন্দা জানিয়েছে। তাদের বক্তব্য, অন্য অভিবাসীদের তুলনায় ইউক্রেনীয়দের অন্যায়ভাবে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।

দুর্বল নিষেধাজ্ঞা রাশিয়াকে হামলার উৎসাহ যোগাচ্ছে: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সর্বশেষ ফেসবুক ভাষণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তা না হলে আমরা মনে করব, ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ান আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে পশ্চিমারা।

জেলেনস্কি বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ান ফেডারেশনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার একটি নতুন প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। কিন্তু এটি যথেষ্ট নয়। বুচায় রাশিয়ার নৃশংসতার তুলনায় এটা কিছুই না। মারিওপোল ও খারকিভের গোলাবর্ষণ কিংবা ডোনবাসে রক্তাক্ত হামলার কাছে নতুন ওই নিষেধাজ্ঞা মূল্যহীন।

ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট বলেন, ইউক্রেন রাশিয়ার ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে ‘সম্পূর্ণ অবরোধ’ করেছে। তাছাড়া গণতান্ত্রিক বিশ্বের জন্য রাশিয়ার তেল না কেনাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। তিনি পশ্চিমা নেতাদের সমালোচনা করে বলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর মেরুদণ্ড পশ্চিমা নেতাদের কারও নেই।

জেলেনস্কির অভিযোগ, কিছু রাজনীতিবিদ এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না কীভাবে তেল বাণিজ্য থেকে রাশিয়ায় ডলার এবং ইউরোর প্রবাহ সীমিত করা যায়। কারণ তারা নিজস্ব অর্থনীতির বিপদ দেখছেন। যে কোনোভাবে রাশিয়ান তেল সরবরাহের ওপর নিষেধাজ্ঞা চান জেলেনস্কি।