দম্পতিদের আলাদা ঘুমানোসহ চীনে নতুন করোনাবিধি!

বিশ্ব কাঁপানো করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল হিসেবে পরিচিত চীনের উহান। মনে করা হয়, ২০১৯ সালের শুরুতেই সেখানে ছড়িয়ে পড়েছিল ভাইরাসটি। সংক্রমণের সেই ঢেউ দ্রুতই নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় দেশটি। এরপর সব ধরনের বিধিনিষেধ তুলে নিলে গত দুই বছরে ফের ঘুরে দাঁড়ায় চীনা অর্থনীতি। ২০২২ সালে এসে আবার সংক্রমণের রেকর্ড ভেঙেছে দেশটিতে, এমনকি সংক্রমণ প্রতিরোধে ‘জিরো পলিসি’ নেওয়া হয়েছে।

চীনে নতুন করোনাবিধি

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানায়, চীনের বৃহৎ বাণিজ্যনগরী সাংহাইয়ে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর লকডাউন জারি করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। যা সেখানকার বাসিন্দাদের দৈনন্দিন জীবনযাপনে প্রভাব ফেলছে। এ নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনাও চলছে।

গত কয়েক দিনে সাংহাইয়ে দৈনিক সংক্রমণের হার অন্যান্য দেশের চেয়ে কমলেও তা এখনো উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেশি বলে জানিয়েছে গণমাধ্যমগুলো। ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষের শহরটিতে খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহের ঘাটতির প্রতিবাদ করছেন অনেকে। এ জন্য বেলকনিতে দাঁড়িয়ে গান করছেন কেউ কেউ।

চীনের সাংহাইয়ের রাস্তায় করোনা বিষয়ক সতর্ক বার্তা দিচ্ছে রোবট

বাসিন্দাদের টুইট করা এক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এমন প্রতিবাদ করা সুউচ্চ ভবনগুলোর কাছে ড্রোন পাঠিয়ে করোনাবিধির ব্যাপারে বাসিন্দাদের সতর্ক করা হচ্ছে। নিজেদের ইচ্ছা সংবরণের পাশাপাশি জানালা না খুলতে এবং গান গাইতেও বারণ করা হচ্ছে।

এ ধরনের আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, সাংহাইয়ের রাস্তায় বিধিনিষেধ ঘোষণা করতে মেগাফোন ব্যবহার করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। একটি হাউজিং সোসাইটির বাসিন্দাদের উদ্দেশে তারা বলছেন, আজ রাত থেকে দম্পতিদের আলাদা ঘুমানো উচিত। চুম্বন করবেন না, আলিঙ্গন করবেন না। আলাদাভাবে খাওয়া-দাওয়া করুন, সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ।

এর সপ্তাহখানেক আগে সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অপর এক ভিডিওতে দেখা যায়, সাংহাইয়ের রাস্তায় টহল দিচ্ছে ৪ পায়ের রোবট। তারা স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক বিভিন্ন বার্তা ঘোষণা করছে।