বরখাস্ত রাশিয়া, ভোট দেয়নি বাংলাদেশ ভারত চীনসহ ৫৮ দেশ

জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে রাশিয়াকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৯৩টি দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে খসড়া প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। বিপক্ষে ভোট দেয় ২৪টি দেশ। বাংলাদেশ, ভারত, চীনসহ ৫৮টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে। ইউক্রেনে ক্রমবর্ধমান হামলার পরিপ্রেক্ষিতে মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে রাশিয়াকে অপসারণের বিষয়ে ভোট দিতে বিশেষ জরুরি অধিবেশন আহ্বান করে জাতিসংঘ। সেখানেই দেশটির বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। টাইমস নাউ।

জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে বরখাস্ত রাশিয়া

এদিকে রাশিয়ার প্রশ্নে আবারও কৌশলগত অবস্থান নিয়েছে ভারত। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে রাশিয়ান ফেডারেশনের স্থগিতাদেশের বিষয়ে প্রস্তাবনায় ভোটদানে বিরত থেকেছে ভারত। তবে সবপক্ষকে শত্রুতা অবসানের জন্য আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।

এ বিষয়ে জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস ত্রিমূর্তি বলেছেন, রাশিয়া বুচায় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতির জন্য আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করেছি এবং একটি স্বাধীন তদন্তের আহ্বানকে সমর্থন করি।

রাশিয়া জাতিসংঘের এই পদক্ষেপকে ‘পশ্চিমা দেশগুলির অপচেষ্টা’ বলে অভিহিত করেছে। জাতিসংঘে রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া জাতিসংঘ সদস্যভুক্ত দেশগুলোর প্রতি তাদের সিদ্ধান্ত বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, উসকানি সত্ত্বেও মস্কো কিয়েভের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে তার দেশ।

জাতিসংঘে ইউক্রেনের প্রতিনিধি সার্গেই কিটলিটসিয়া বলেছেন, মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে রাশিয়ান ফেডারেশনের সদস্য পদ স্থগিত করা বিশ্বনেতাদের একটি কর্তব্য। আমরা একটি ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আছি। জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য হয়েও রাশিয়া সার্বভৌম রাষ্ট্র ইউক্রেনের ভূখণ্ডে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। ইউক্রেনের নাগরিকদের ওপর রাশিয়ার সহিংসতা যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের সমতুল্য।

এদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে সরিয়ে দেওয়ার পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, যে দেশ মানবাধিকারের চরম ও অব্যাহত লঙ্ঘন করছে, তাদের এমন একটি সংস্থার সদস্য পদ থাকা উচিত নয়। কারণ কাউন্সিলের সদস্য দেশের কাজ মানবাধিকার রক্ষা করা, কিন্তু রাশিয়া তা করছে না।

২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে পুরোদমে হামলা শুরু করে রাশিয়া। এর আগে দেশটি ইউক্রেন সীমান্তে অতিরিক্ত সেনাবহর মোতায়েন করে।