পুতিন-ল্যাভরভের মেয়ে: যুক্তরাষ্ট্রের পথে হাঁটল যুক্তরাজ্য

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়া হিসেবে সবশেষ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দুই মেয়ে এবং দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের মেয়ের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ও তাদের সম্পদ জব্দ করে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। এবার সেই পথেই হাঁটল যুক্তরাজ্য তথা ব্রিটেন সরকার। বরিস জনসন সরকারের প্রশাসনও তাদের বিরুদ্ধে একই ব্যবস্থা নিয়েছে।

দুই মেয়ের সঙ্গে পুতিন

ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাজ্য সরকার আজ শুক্রবার, ৮ এপ্রিল পুতিনের দুই মেয়ে কাতেরিনা তিখোনোভা এবং মারিয়া ভোরোনৎসোভার সম্পদ জব্দ করার ঘোষণা দিয়েছে। একই সঙ্গে তাদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়েছে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করেছে রাশিয়া। এরপর থেকেই মস্কোর ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো। রাশিয়ার সেনাবাহিনী ইউক্রেনে যতই যুদ্ধ ও নৃশংসতা বাড়াচ্ছে; যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং তাদের মিত্ররা ততই রাশিয়ার ওপর নতুন নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে।

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ, ফাইল ছবি

সম্প্রতি ইউক্রেনের বুচা শহরে রাশিয়ান বাহিনীর চালানো নৃশংসতার চিত্র সামনে আসে। সেখানে অনেক বেসামরিক লোককে সরাসরি গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। শহরের রাস্তাগুলোতে ছিল শুধু লাশ আর লাশ। এমন চিত্র সামনে আসার পর যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন গত বুধবার সবশেষ পুতিন কন্যা মারিয়া ও কাতেরিনাকে নিশানা করে এবং তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়।

একই সঙ্গে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের মেয়ের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সবশেষ যুক্তরাজ্য সরকারও ল্যাভরভের মেয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের সবার সম্পদও জব্দ করা হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের মেয়ে ওপর যুক্তরাজ্য সরকারের ফরেন, কমনওয়েলথ এন্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস বা এফসিডিও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। একই সঙ্গে তাদের সম্পদ জব্দের ঘোষণা দিয়েছে এফসিডি।

এদিকে, যুক্তরাজ্য সরকারের হিসাব বলছে, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার পদক্ষেপের সঙ্গে সমন্বিতভাবে লন্ডন সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট পুতিনের সাড়ে ২৭ হাজার কোটি পাউন্ডের সম্পদ জব্দ করেছে। যুক্তরাজ্যের দাবি, সাম্প্রতিক বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা ও তহবিল জব্দের কারণে রাশিয়া এখন সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন পরবর্তী সবচেয়ে গভীর সংকেটে পড়তে যাচ্ছে।